UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাক কারখানা খুলেছে, কাজে যোগদান কর্মীদের

usharalodesk
আগস্ট ১, ২০২১ ১২:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলে দেয়া হয়েছে দেশের পোশাক কারখানাগুলো। রোববার (১ আগস্ট) সকালে নিজ নিজ কারখানায় যোগ দিলেন অধিকাংশ শ্রমিক। সব তৈরি পোশাক কারখানায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ কারখানায় তাপমাত্রা মাপা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, ৮টার আগেই দলে দলে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী শ্রমিক। কেউ কেউ নতুন কাজের জন্য ভিড় করছেন। এদের অনেকেই জানিয়েছেন, হঠাৎ গার্মেন্টস খোলার কথা শুনে কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন তারা।  কেউ কেউ ঢাকাতেই ছিলেন বলে জানান।

প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই করোনা প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধে গ্রামে থাকা শ্রমিকদের কাজে না ফিরতে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।

সংগঠনটি বলছে, বিধিনিষেধ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা যদি কাজে যোগ না দেয়  তাহলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি, তাদের ফোন করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে কাজে যোগ না দিলে চাকরি আর থাকবে না। তাই শনিবার বিধিনিষেধের ৯ম দিনে রাজধানীর প্রবেশমুখে জনস্রোত দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের ফিরতে হয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশের বাধায় অনেকে হেটে ঢাকায় ঢুকেছেন।

পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানায় কাজে যোগ দানের জন্য শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে। লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকবে, তবে কোন সময় পর্যন্ত চলবে এ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রোববার বেলা পৌনে ১২টায় জানান, ‘লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে এমন ১টি নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। অনেক যাত্রী ও সরকার যে উদ্দেশ্যে লঞ্চ চলাচল খুলে দিয়েছে সেটা ১২টার মধ্যে পূরণ হবে না। তাই সময় বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, আপাতত লঞ্চ চলবে এটা বলতে পারি। কোন সময় পর্যন্ত চলবে সেটা এখনও বলতে পারছি না। সেই সিদ্ধান্তটা এখনও পাইনি। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৮ দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে ।

(ঊষার আলো-আরএম)