পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দলটির ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক নারী। ওই নারীর দাবি, বাড়ি করার সময় তার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়। তা না দেওয়ায় তার বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি শ্লীলতাহানির হুমকিও দেয়।
গত ২০ মে দুপুরে ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই ভুক্তভোগী নারী। অভিযোগপত্রে ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোতালেব হোসেন (৫৩), মানিক হোসেন (৩৫), আকতার হোসেন (৫৫), মো. সরপু আলী (৪৫) ও আলাউদ্দিনের (৪৫) নাম উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, তিনি নিজ জায়গায় ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে অভিযুক্তরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। প্রথমে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে আবারও পৌর বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলামের নাম বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় অভিযুক্তরা নির্মাণকাজে বাধা দেন এবং প্রকাশ্যে মানহানিকর ও অপমানজনক আচরণ করেন।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। বাড়ি নির্মাণ শুরুর পর থেকেই অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করতে থাকে। ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় তারা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এ ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজও আমার কাছে রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে পৌর বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। নির্মাণাধীন জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য কয়েকবার তারা আমার কাছে এসেছেন। আমি চেষ্টা করেছি সমাধান করতে। সম্প্রতি পৌরসভা থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘রফিকুল লোক ভালো বিধায় দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পৌর কাউন্সিলর ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঊষার আলো-এসএ