ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য মৌলিক সমস্যা সমাধানের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (২৮ মে ) শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না ও সেক্রেটারি আফসানা আক্তারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি জমা দেন।
এসময় প্রতিনিধিরা তাদের দাবিগুলো বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারকরণ ও যৌন হয়রানি মুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ। পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সহজলভ্যতা, পর্যাপ্ত কমনরুম, নামাজরুম ও ওজুখানার ব্যবস্থা করা। হলভিত্তিক প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং মাতৃত্বকালীন সময়ে সহযোগিতা প্রদান। আবাসন সংকট নিরসন এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে হলে প্রবেশের অনুমতি প্রদান।
এ বিষয়ে ঢাবি শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন নিপীড়নের কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে ক্যাম্পাসে আমরা কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এই সময়ের মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীসংস্থার প্রাথমিক কাঠামো গঠন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে শাখা সভানেত্রী ও সেক্রেটারির দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালু করবো।’
শাখা সেক্রেটারি আফসানা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রীসংস্থা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্রী সংগঠন। ১৯৭৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের সংগঠন ছাত্রীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রীসংস্থার কার্যক্রমের রয়েছে বিরাট ইতিহাস। অতীতে ছাত্রীসংস্থা ডাকসুতেও অংশগ্রহন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য কাজ করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা সবচেয়ে বড় ভিক্টিম ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা নতুন পরিসরে কাজ শুরু করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ঢাবি প্রাশাসন দ্রুততম সময়ের মাঝে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবেন। নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা অতীতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। সামনের দিনগুলোতেও নারীদের ন্যায্য দাবী ও অধিকার আদায়ে এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
ঊষার আলো-এসএ