ঊষার আলো ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য লুইজিয়ানায় প্রথমবারের মতো বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার লুইজিয়ানার স্বাস্থ্যবিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, বার্ড ফ্লু ছাড়াও রোগীর শরীরে অন্যান্য রোগের উপসর্গ ছিল। তবে এ নিয়ে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬৫ বছর বয়সি ওই রোগী। তখন বার্ড ফ্লুর এইচ৫এন১ নামের ধরণাটিকে গুরুতর হিসেবে ঘোষণা দেয় দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি।
লুইসিয়ানার স্বাস্থ্য বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, যদিও সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান অবস্থা গুরুতর নয়; তবে যারা পাখি, হাঁস-মুরগি বা গরু নিয়ে কাজ করেন তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া যারা বিনোদনমূলক সংস্পর্শে অভ্যস্ত তাদেরও ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। তারা নিশ্চিত করেছে যে রোগী এইচ৫এন১ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বন্য পাখির সংস্পর্শে ওই রোগটি তার শরীরে প্রবেশ করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত ওই রোগী ছাড়া অন্য কারোও শরীরে এইচ৫এন১ ধরণের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। বার্ড ফ্লুর বিশেষ এই ধরণটির ওপর নজরদারি এবং এ বিষয়ে গবেষণার জন্য ৩০৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠলে ওই তহবিল ঘোষণা করেন তারা। এমন সতর্কতা সত্ত্বেও বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডব্লিউএইচও- এর তথ্য মতে, ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৪টি দেশের ৯৫০ জনের শরীরে বার্ড ফ্লু শনাক্ত করা হয়েছে। চীন ও ভিয়েতনামে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ঊষার আলো-এসএ