UsharAlo logo
রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মত ট্রানজিট নিয়ে ভারতীয় পন্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

koushikkln
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ ১১:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক: বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম) পরিবহনের জন্য ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনার বহন করে ‘এম/ভি ট্রান্স সামুদেরা’ নামের একটি জাহাজ আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কার্গোর এই চলাচল ২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য গৃহীত ট্রায়াল রানের অংশ। এই ট্রায়াল রান চট্টগ্রাম-শেওলা-সুতারকান্দি রুটে টাটা স্টিল এবং সিজে ডার্কল লজিস্টিকস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে ।
চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে, যথা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুটে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়, চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি SOP স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল রান ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়েছিল যেখানে চারটি কন্টেইনার, দুটি টিএমটি স্টিল এবং শস্যদানা, কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পাঠানো হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের খরচ এবং সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে। এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বীমা, পরিবহন এবং ফিন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও সৃষ্টি করবে কেননা ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার করা হবে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যে, ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে একটি ট্রায়াল রান পরিচালনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে যা এই চুক্তির অধীনে অনুমোদিত সমস্ত রুটে ট্রায়াল রান পরিচালনার সমাপ্তিকে নির্দেশ করবে। এই বছরের শুরুর দিকে দুই সরকারের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, সেই অনুযায়ী, এই চুক্তির অধীনে পণ্যের পরিচালনা এবং নিয়মিত চলাচলের জন্য এই ট্রায়াল রানসমূহ পরিচালনা সমাপ্তির পরে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় স্থায়ী আদেশ/বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

ঊআ-বিএস