ঊষার আলো রিপোর্ট : আবারও অমানবিক ঘটনা যোগীরাজ্যে ঘটেছে। ১৭ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে ১ যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক মানতে না পেরে মেয়েকে খুন করেছে তারই বাবা। শুধু তাই নয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়ের গলা কেটে মাথা আলাদা করে পুলিশ স্টেশনের উদ্দেশে হাঁটতেও থাকেন তিনি। শেষপর্যন্ত খবর পেয়েই চলে আসে পুলিশ। এরপরই আটক করা হয় অভিযুক্ত বাবাকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনে ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হারদৌ জেলার একটি গ্রামে। বুধবার বিকেলে ওই নির্মম অমানবিক ঘটিয়েছে অভিযুক্ত সর্বেশ কুমার। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে খুন করে। তারপর মাথা কেটে নির্লিপ্তভাবেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে থানার উদ্দেশে হাটতে থাকে। গ্রামের মানুষও ওই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গেছে। তারাই খবর দিয়েছে পুলিশকে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই দৃশ্য দেখে তারাও অবাক হয়ে যান। এরপরই ভিডিও করতে থাকে ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। সর্বেশের ব্যাপারে তথ্য জানার চেষ্টা করে তারা। আর অভিযুক্তও বাবা সব প্রশ্নেরই উত্তর দেন।
তিনি বলেন, নিজেই নিজের মেয়েকে খুন করেছেন। দেহ এখনও ঘরেই রয়েছে। সর্বেশ কুমার বলেছেন, আমিই খুন করেছি। অন্য কেউ আমার সাথে নেই। ঘরের দরজা বন্ধ রয়েছে। মেয়ের দেহও ঘরেই পড়ে রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে রাস্তার পাশে বসতে বলে। অভিযুক্ত কোনো আপত্তি না জানিয়ে সেটাই করে। পরবর্তীতে আরও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে। কিন্তু বাবা হয়ে কেন এমন নৃশংস কাজ করলেন সর্বেশ?
সর্বেশ কুমার বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ১ যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার মেয়ের। কিন্তু তাতে সায় ছিল না সর্বেশের। সে কারণেই রাগের মাথায় এ কাণ্ড করেছেন তিনি। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরেছে পুরো এলাকায়। বাবা হয়েও নিজের মেয়েকে কীভাবে কেউ খুন করতে পারেন? সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সবার।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)