বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্স।
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, প্রচলিত পদ্ধতিতে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফরমালিনে রেখে সংরক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি প্রচলিত পদ্ধতির থেকে একটু আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা হয়। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে ফরমালিন ছাড়াও এখানে এসিটোন ও সিলিকন ব্যবহার করা হয়- যার ফলে মূল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অথবা অর্গানের মত বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে তৈরি দেহের অর্গানগুলোতে কোন গন্ধ তৈরি হয় না- যার ফলে শিক্ষার্থীরা হাতে নিয়ে সহজেই গবেষণা করতে পারে। বাংলাদেশের ভেতরে এটিই প্রথম ল্যাব, যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত।
আজ বুধবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের অধীনে প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক।
ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, এনাটমি একটি কঠিন বিষয় হলেও, এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বেসিক বিষয়। তাই এনাটমিতে দক্ষ না হলে, ভালো চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়। তাই দক্ষ চিকিৎসক হওয়ার জন্য এনাটমি উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির উপর একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হলে, সমগ্র দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে- যা মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণাকে আরো উন্নত সমৃদ্ধ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম প্রমুখসহ উক্ত বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ, রেসিডেন্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।