UsharAlo logo
রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বইমেলায় সিসিমপুরের আয়োজনে জমজমাট শিশু প্রহর

usharalodesk
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা অফিস : অমর একুশে বইমেলার শিশু প্রহরের দ্বিতীয় এবং মেলার চতুর্থ দিন শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি)। এদিন বেলা ১১টায় বইমেলার দুয়ার খুলতেই শিশু কর্নার মুখর হতে শুরু করে শিশু-কিশোরদের পদচারণায়। শিশু প্রহর জমজমাট হয়ে ওঠে টিভি পর্দার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের আয়োজনে।

মেলায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক শিশুকে দেখা গেছে শিশু প্রহরে। এছাড়াও বাবা-মায়ের সঙ্গে বই কিনতে দেখা যায় শিশুদের।

মেলায় আসা শিশু-কিশোরদের বইয়ের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কমিকস, রূপকথা, গল্প, সায়েন্স ফিকশন, গণিত নিয়ে মজার খেলা ও ছড়ার বইগুলো।

এদিকে শিশুদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু সিসিমপুরের মঞ্চ ছিল নানাবয়সী শিশুদের কোলাহলে মুখর। কারণ সেখানে ছিল টুকটুকি, শিকু, ইকড়ি ও হালুমের পরিবেশনা। এসময় পছন্দের চরিত্রগুলোর ছবি তোলার হিড়িক পড়ে শিশুদের মাঝে। বাচ্চাদের ছোটাছুটি আর দুরন্তপনায় শিশু চত্ত্বর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

মেলায় শিশু-কিশোরদের আগমনে বিক্রি বেড়েছে মেলার শিশু চত্বরের স্টলগুলোতে। এই অংশের স্টল মালিকরা জানান, ছুটির দিন ও শিশু প্রহর ছাড়া অন্য দিন মেলায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি কম থাকে। তাই এই সময় শিশু চত্বরে বইয়ের বেচা-কেনাও কম হয়। শুক্র-শনিবার অভিভাবকরা শিশু-কিশোরদের মেলায় নিয়ে আসেন। এই দুই দিন বিক্রিও অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আসলাম উদ্দিন সন্তানদের নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিশুদের জন্য সুন্দর আয়োজন শিশু প্রহর। এখানে আসলে শিশুরা আনন্দ খুঁজে পায়, বই পড়ার প্রতিও আগ্রহ বাড়ে। তাই গত বছরের ন্যায় এবারও তাদের নিয়ে এসেছি। আনন্দ করার পাশাপাশি, ওরা বইও কিনেছে।

বাবার সঙ্গে আসা পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়মান জানায়, সিসিমপুর তার অনেক পছন্দ। টুকটুকি, শিকু, ইকড়ি ও হালুমের সঙ্গে ছবি তুলেছে সে। আর তার পছন্দের কার্টুনের বইও কিনেছে।

এবারের বইমেলায় শিশু প্রহরের আয়োজন করেছে সিসিমপুর। শুক্রবার বিকেল ৩টায় শিশু প্রহরের উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। মাসব্যাপী এ মেলায় সপ্তাহের দুদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকবে শিশুদের জন্য, এই সময়টাকে ঘোষণা করা হয় শিশু প্রহর হিসেবে।

বইমেলায় শিশুচত্বরটি এবার বাংলা একাডেমির মন্দিরের পাশের গেইট দিয়ে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। শিশু চত্বরে এবার ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ শিশুদের আমরা নিয়ে যেতে পারব। আমরা শিশু প্রাঙ্গণটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। মেলার কিছু দিন যাওয়ার পর শিশু ও তাদের অভিভাবকরা বুঝতে পারবে স্থানটি কেমন হয়েছে। সিসিমপুর শুধু বিনোদন নয়,এটি শিক্ষারও একটি অংশ।