UsharAlo logo
শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বণিকপাড়া সর্বজনীন মন্ডপে ১৫১ প্রতিমা

koushikkln
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজা এ বছর বাগেরহাট জেলায় ৬৬৩ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ উৎসব ঘিরে চলছে শেষ মুহুর্তের পস্তুতি। প্রতিমা তৈরি শেষে মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। জেলায় এবার ৬৬৩টি মন্ডপে দূর্গা পূজার আয়োজন করা হলেও বাগেরহাট সদরের বনিকপাড়া সার্বজনিন মন্ডপে ১৫১ টি প্রতিমা তৈরী করে সাড়া ফেলেছে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের মধ্যে। তবে জেলায় উপজেলা ভিত্তিক সব থেকে বেশি ১৬৮টি মন্ডপে দূর্গাপূজা হবে চিতলমারী উপজেলায়।

বাগেরহাট সদর উপজেলায় ১১৬টি, মোল্লাহাটে ৮৪টি, মোরেলগঞ্জে ৭৭টি, ফকিরহাটে ৬৮টি, কচুয়ায় ৪৪, রামপালে ৪১, মোংলায় ৩৭ এবং শরণখোলা উপজেলায় ২৮টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট পুলিশ অফিস। এবারের দূর্গা পূজায় ১৫১ প্রতিমা নিয়ে জেলার সব থেকে বড় আয়োজন হচ্ছে সদর উপজেলার চুলকাঠি বনিকপাড়া মন্ডপে।

বনিকপাড়া মন্ডপে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মন্ডপের বাইরের গেট ও সাজ-সজ্জার কাজ করছেন শ্রমিকরা। মূল মন্ডপের ভিতরে প্রবেশ করতেই দুই পাশে বিভিন্ন নামের দেব-দেবীর প্রতিমার সারি। সর্বশেষ মূল মন্ডপে রয়েছে মা দূর্গা ও তারসহযোগী দেবীদের প্রতিমা। দুই মাস ধরে ৪ জন কারিগর রামায়ণ ও মহাভারতের চারযুগের দেবদেবীর নানা কাহিনী অবলম্বনে এ সব প্রতিমা তৈরী করছেন বলে জানান কারিগর রা। কারিগর তাদের নিপূণ হাতে প্রতিমা ফুটিয়ে তুলেছেন ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য। মূল পূজা শুরু না হলেও, এখনই বিভিন্ন স্থান থেকে জেলার সব থেকে বড় এই আয়োজন দেখতে দর্শনার্থীরা আসছেন। এখানে দেবী দত্ত নামের স্থানীয় এক গৃহবধু বলেন, শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, মুসলিমরাও আসছেন এই প্রতিমা দেখতে। স্থানীয় সবাই এক সাথে মিলে আমরা এই উৎসব উদযাপন করি। এবার ১৫১টি প্রতিমার কথা শুনে দূর-দুরান্ত থেকে অনেকে খোঁজ নিচ্ছেন আসার জন্য।

রবিউল ইসলাম বলেন, এতবড় আয়োজন এখানে আগে কখনও হয়নি। আসাকরি অনেক লোক আসবে, আমরা বেশ আনন্দিত জাঁকজমক আয়োজন দেখে। প্রতিমা তৈরির কারিগর গনেশ সরকার বলেন, ১৫১টি প্রতিমার মাধ্যমে আমরা রামায়ণ ও মহাভারতের ৪ যুগের দেবদেবীর নানা কাহিনী ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশাকরি দর্শনার্থী ও ভক্তদের ভাল লাগবে।

বনিকপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি দিপংকর কুমার সাধু বলেন, করোনার কারণে দুই বছর দূর্গা পূজায় আমরা আয়োজন করতে পারিনি। এবার মনের মত আয়োজন করেছি। জেলার মধ্যে এটাই বড় আয়োজন। আমাদের সবধরনের প্রস্তুুতি শেষ, আশাকরি অনেক লোকজনের সমাগম হবে। এদিকে সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে নিরাপদ ও র্নিবিগ্নে দূর্গা পূজা উদযাপন করতে পারে সে জন্য কাজ করছে জেলা পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি মন্ডপে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপশি মন্ডপ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও থাকার কথা রয়েছে। তবে প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা থাকার কথা থাকলেও বেশিরভাগ মন্ডপে সিসি ক্যামেরা নেই।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জনদেয়া পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। আশাকরি সবাই মিলে উৎসব মুখর পরিবেশে দূর্গাপূজা উযযাপন করতে পারব।