ক্রীড়া ডেস্ক : পুরুষদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ একটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। তবে আসছে আসর থেকে সে নিয়ম বদলে যেতে পারে। নতুন বছরে সাফ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে আয়োজন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলগুলো সায় দিলে এরপরই সে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে সাফ।
বুধবার কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফের সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘এই প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মাসেই আমরা সদস্য দেশগুলোর সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে সভা করব। সেই সভায় বাকি বিষয় চূড়ান্ত হবে। যদি কোনো সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আগের মতো কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে হবে সাফ। এই টুর্নামেন্টের প্রাথমিক সময়সূচি ১৫ জুন থেকে ৫ জুলাই।’
এছাড়া সভায় ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার অনুমোদিত হয়েছে। সেখানে নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ নামের আরেকটি টুর্নামেন্ট যোগ হয়েছে, যা নিজস্ব অর্থায়নে করবে সাফ।
সাফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাফ পুরুষ ও নারীর পাশাপাশি সাফ অ-২৩ এবং সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ এই চার টুর্নামেন্ট মার্কেটিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে।’
ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের রূপরেখা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে আটটি দল অংশ নেবে। র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা দেশের ক্লাব দুটি বাকি দেশগুলো থেকে একটি করে ক্লাব অংশ নেবে। আটটি ক্লাব দুই গ্রুপে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলবে। ফাইনাল হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে।’
পুরুষ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতি বছর হলেও নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে এক বছর পরপর। এর কারণ সম্পর্কে সাফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মার্কেটিং কোম্পানি পুরুষ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের বিষয়ে চুক্তি করেছে। নারী ক্লাব আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে করব ফলে এটি প্রতি বছর আয়োজন করা কষ্টসাধ্য। এজন এক বছর নারী সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ পরের বছর হবে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (জাতীয় দল)।’
নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। নেপাল, ভুটান, ভারত ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঊষার আলো-এসএ