ঊষার আলো ডেস্ক : ঋতু পরিবর্তনের সময় সবারই শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু বর্ষাকালে সকল বয়সের সবারই অসুখের প্রবণতা একটু বেশি দেখা যায়। এসময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ভাইরাসজনিত সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা, হজমে সমস্যা, ডায়েরিয়া ও টাইফয়েডসহ চামড়ায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে জেনে নেওয়া যাক কিছু কার্যকারি উপায় বা উপাদান।
আদা. আদায় আছে পটাশিয়াম, আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই, সি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট এবং অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি এজেন্ট। আমাশয়, পেটফাঁপা, পেটব্যথার সমস্যায় আদা ব্যাপক উপকারী। এছাড়াও গলা ব্যথা বা কাশির ক্ষেত্রে গরম পানিতে আদা ফুটিয়ে খেলে আরাম মেলে।
রসুন. স্বাস্থ্যরক্ষায় রসুন খাওয়ার প্রচলন রয়েছে বহু দিনের। রসুনে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা হৃদরোগ প্রতিরোধেও রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। কাজে বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন খেতে হবে।
লেবু. ভিটামিন সি‘তে ভরপুর লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখে। লেবুতে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগিক এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের কারণে এটা হতে পারে বর্ষার ডায়েটে একটি সুপারফুড। ডাল, সালাদ অথবা শাকসবজিতে। বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেকোনো খাবারের সাথেই লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
দুধ-হলুদ. বাঙালির রান্নাঘরের বহুল প্রচলিত এক মসলা হলুদ। এ সাধারণ হলুদই আপনাকে দিতে পারে নানা রোগ থেকে মুক্তি। হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরে কোনো সংক্রমণকে বাসা বাঁধতে দেয় না। এছাড়া কারকিউমিন আর্থ্রাইটিসের প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। হলুদ অবসাদ দূর করার পাশাপাশি খাবারের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বর্ষাকালে দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
(ঊষার আলো-এফএসপি)