UsharAlo logo
বুধবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা না যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ ভারতীয়দের

usharalodesk
অক্টোবর ২, ২০২৪ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতের বাণিজ্য পথ এখনো কার্যত বন্ধ। এতে করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ গুনতে হচ্ছে ১০ কোটি টাকারও বেশি। ব্যবসায়ীদের দাবি ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

পশ্চিমবঙ্গ বাদ দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য পথ উত্তরপূর্ব ভারতে। উত্তরপূর্বের আসাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার সঙ্গে এই বাণিজ্য সম্পর্ক আছে। ভারতের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। এই দুইমাসে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাদের। গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্য আবার শুরু হলেও তা আগের মতো হচ্ছে না। ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৩টি স্থলবন্দর এবং ৪টি নদীবন্দর আছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে চাল, পেঁয়াজ, আদা, শুকনো মরিচ, ফল, কয়লা, পাথর, চুনাপাথর ইত্যাদি রপ্তানি হয়। আমদানির ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি সামগ্রী আসে কাঠের ফার্নিচার, প্লাস্টিক, সিমেন্ট, জিআই শিট, ওয়েস্ট কটন, আয়রন রড, মাছ, আচার, বিস্কুটসহ বেশ কয়েকটি পানীয়।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের গুয়াহাটি শাখার সাধারণ সম্পাদক অমরেশ রায় জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট থেকে আমদানি এবং রপ্তানি দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে বেশ কিছু কড়া নিয়ম আছে। এর আওতায় কোনও বাইরের দেশে জিনিসপত্র পাঠানোর ছয় মাসের মধ্যে টাকা ফিরে না এলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। এক্ষেত্রে তাদের ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল করাসহ তাদের গ্রেফতার পর্যন্ত করা যেতে পারে। বাংলাদেশের ব্যাংক ক্ষমতা হারানোর পর এখন ভারতের অনেক ব্যবসায়ী এই আশঙ্কায় আছেন।

একই সঙ্গে সুতারকান্দি এলাকায় প্রায় ৩০০ দিনমজুর প্রতিদিন ট্রাক বোঝাইয়ের কাজ করেন। তাদেরও এখন কোনো কাজ নেই।

ঊষার আলো-এসএ