ঊষার আলো ডেস্ক: বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ উপকূলের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দীপের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে ঝড়। বরিশালের কাছে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের দাপটে ১৯টি জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
রবিবার রাতের পরই তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঝড়ের অভিমুখ বাংলাদেশের দিকে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ উপকূলের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দীপের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে ঝড়। বরিশালের কাছে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সমুদ্র থেকে ফিরতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আছড়ে পড়লে সে দেশের উপকূলের ৭৩০ কিমি এলাকায় প্রভাব পড়বে। কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়েছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যেও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বৈঠক হয়েছে জানিয়েছেন মন্ত্রী। জেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। আগামী তিনদিনের মধ্যে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
ভারতীয় অবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পিশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবারের (২২ অক্টোবর) মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এটি রবিবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে। এরপর এটি উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর মঙ্গলবার এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে গিয়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ আরও জানিয়েছে, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পরবর্তী নির্দেশনা সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।
ঊআ-বিএস