UsharAlo logo
রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

koushikkln
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি উদ্বেগের সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি লুইস গুয়েন। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।

অপরদিকে শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে অভিযোগ জানানো হবে জাতিসংঘে।

।। প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানো হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।।

লুইস গুয়েন বলেন, জাতিসংঘ প্রতিনিয়তি পর্যবেক্ষণ করছে, মিয়ানমারের মিশনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সত্যি বলতে পুরো ঘটনা স্পষ্ট নয়। যদিও ঘটনাস্থলে দেখবার অনুমতি নেই। তাই উভয় দেশকে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেন লুইস গুয়েন।

এর আগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মর্টার শেল হামলায় একজন নিহত হন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। এ ঘটনার পর ঘুমধুম সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্েয এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেছে ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও মিয়ানমার একের পর এক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করছে। এতে করে ওই এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে শুধু আতঙ্কই ছড়িয়ে পড়ছে না, একজন মারাও গেছেন। অনেকেই হতাহত হয়েছেন। তবে মিয়ানমারের এ ধরনের কর্মকাÐকে আমরা শুধু তীব্র প্রতিবাদই জানাচ্ছি না, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তুলে ধরা হবে। আমরা সেভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কথা বলে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তবে মিয়ানমারের কোনো উস্কানিতে আমরা পা দিবো না। এ ধরনের সমস্যা কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায় সে চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশ কখনো প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধ চায় না।

প্রসঙ্গত, প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। ওপারে মিয়ানমার থেকে মর্টার শেলসহ নানা ভারী অস্ত্রের আওয়াজে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু ও বাইশপারী এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট তমব্রু উত্তরপাড়ায় এসে পড়েছে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল। সেদিনই সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখা যায়।

এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দুটি গোলা ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পড়ে। সেগুলো অবিস্ফোরিত থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।