UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাগেরহাটের কচুয়ার কিশোরী দফায় দফায় ধর্ষনের অভিযোগ থানায় মামলা,মুল আসামী আটক

pial
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ ৩:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দোবাড়িয়া গ্রামের প্রতিবেশী এক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার (৫০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এছাড়াও কিশোরী মেয়েটির ধর্ষণের ছবি দেখিয়ে পরবর্তীতে খুলনার কোন এক বাসায় নিয়ে ২জনে পূনঃরায় ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার ১২ বছর বয়সী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার সহযোগী স্ত্রী সখী বেগমের নামে গত রবিবার কচুয়া থানায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কচুয়া থানার ওসি মো: মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে মুল আসামী মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার কে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ১২ বছর বয়সী কিশোরীর দিন মজুর পিতা বলেন, গত ১০ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমি কাজের সন্ধানে বাড়ির বাহিরে যাই। এবং আমার অসুস্থ্য স্ত্রী এনজিও-র কিস্তি দিতে পাশের বাড়ি যায়, এই সুযোগে দোবারিয়া গ্রামের মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী শহিদা ওরফে সখী বেগম নতুন জামা ক্রয় করে দেওয়ার কথা বলে আমার ছোট মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

এ সময় স্ত্রীর সহায়তায় স্বামী মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার নিজ ঘরের মাঝে খাটের উপর মেয়েটিকে ১ম বার ধর্ষন করে। পরে সখী বেগম এ ধর্ষনের ছবি তুলে রাখেন। লোক লজ্জার ভয়ে কিশোরী মেয়েটি বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে চুপ থাকে। কিছুদিন পরে প্রতিবেশী সখী বেগম ও তার স্বামীর সংগে ঝগড়া হলে সখী বেগম আমাকে ও আমার মেয়েকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।আমি ভয়ে আমার মেয়েকে খুলনায় আমার বড় ২ মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু গত ১৩ আগস্ট বিকেলে বড় মেয়ের বাড়ি থেকে আমার কিশোরী মেয়েকে আবারও ফুসলিয়ে নিয়ে যায় সখি বেগম । আমি বিভিন্ন জায়গায় আমার মেয়েকে খোঁজাখুজি করে আমার মেয়েকে পাইনা।

দুইদিন পরে গত ১৫ আগস্ট সকালে রুপসা ভ্যানস্টান্ডে অসুস্থ অবস্থায় আমার মেয়েকে ফেলে রেখে যায় তারা। আমি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমার মেয়েকে খুজে পাই। পরে আমার মেয়ে আমাকে সবকিছু খুলে বললে, আমরা আমাদের মেয়েকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। গত ১৭ আগস্ট হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসি আমার মেয়েকে। কচুয়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলে মেয়ের পিতার অভিযোগ পেয়ে কচুয়া থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইন সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলা রেকর্ড করি এবং লম্পট মহিউদ্দিন কে গ্রেফতার করি।

(ঊষার আলো-এফএসপি)