UsharAlo logo
রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের চিতলমারী থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজীর আদেশ

pial
ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৪:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অভিযোগ গ্রহন না করে নির্যাতন ও হয়রানীর অভিযোগের পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজী আবেদনের আদেশ আগামী ৩১ জানুয়ারী।

বাগেরহাট আদালতের সংশ্লিষ্ট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গত রবিবার অভিযোগকারীর নারাজী শুনানীর দিনে এ আদেশ দেন। বিচারক ওই ধার্য্য তারিখে নালিশি অভিযোগকারীর বৃদ্ধ মাতা ও স্ত্রী কে স্বাক্ষী হিসাবে হাজির করারও আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি মোঃ শাহীন তালুকদার মঙ্গলবার সকালে এ প্রতিবেদক কে বলেন, চিতলমারী উপজেলার হিজলা পূর্ব-পাড়া এলাকার মৃতঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন খানের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে প্রতিপক্ষরা হামলা করে। এ ঘটনায় মরহুম মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী শাহদা বেগম, ছেলে ওলিয়ার রহমান খান ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমসহ অন্যরা চিতলমারী থানায় অভিযোগ দিতে যায়। থানার ওসি এ এইচ এম কামরুজ্জামান তাদের অভিযোগ না নিয়ে তাদের অশালিন ভাষায় গালিগালাজসহ নির্যাতন ও হয়রানী করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা ওই পরিবারের ছেলে ওলিয়ার রহমান খান পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দফায় দফায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নালিশি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে তদন্তের নির্দেশ দেন। বিষয়টি বাগেরহাটের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করে থানার ওসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা না থাকার বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

ধার্য্য তারিখে পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী আবেদন করেন বাদী ওলিয়ার রহমান খান। গত রবিবার বাদীর উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক এ আবেদনের শুনানী করেন এবং আগামী ৩১ জানুয়ারী আদেশের দিন ধার্য্য করেন। এদিন বাদীর মাতা শাহিদা বেগম ও স্ত্রী হালিমা বেগম কে স্বাক্ষী হিসাবে হাজির থাকার নির্দেশনা দেন। মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ওলিয়ার রহমান খান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ত্চ্ছু ঘটনা নিয়ে আমার বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা হয়। বৃদ্ধ মাতাসহ নারীদের নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে থানার ওসির দ্বারা আরো নির্যাতনের স্বীকার হয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। এখন আদালতই ভরসা

(ঊষার আলো-এফএসপি)