UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার উপর হামলা সরকারি গাড়ী ভাংচুর

pial
অক্টোবর ১৯, ২০২২ ৩:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার উপর সন্ত্রাসী হামলা ও সরকারী গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হলেও কোন দুবৃর্ত্তকে গ্রেফতার করতে পারে নি। এ দিকে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেনের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবীতে উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করেছে।

বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী প্রকাশ ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় সভা শেষে ফেরার পথে পোলঘাট-বাজনদারবাড়ী এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়ির মধ্যে ডা. ইমরান ছাড়াও প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিলভিয়া আফরিন বৃষ্টি ছিলেন। দূবৃর্ত্তরা চলমান গাড়ির উপর ইট ছুড়ে মারে এবং লোহার রড দিয়ে আঘাত করে।

এ অবস্থায় জীবন বাঁচাতে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে আসেন তারা। কর্তব্যকাজে অনিয়মের অপরাধে শোকজ করায় প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজিম খান বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হামলার করিয়েছেন বলে দাবি করছেন ডা. ইমরান হোসেন। এ ঘটনায় প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজিম খান কে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ডাঃ ইমরান হোসেন। অপরদিকে ডা. ইমরান হোসেন ও সিলভিয়া আফরিন বৃষ্টির উপর হামলার প্রতিবাদে পরের দিন মঙ্গলবার সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালনসহ দুপুরে প্রতিবাদ সভা করে। প্রতিবাদ সভায় প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন, উপ-সহকারী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা শেখ হারুন অর রশিদ, মল্লিক শাহীন আকতার,দীপক কুমার দাসসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের একাধিক সুত্র বলেন ডা. ইমরান হোসেন দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে গ্লাম্য পশু চিকিৎসকদের পশু চিকিৎসা বন্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও মাঠ সহকারিদেরও পশু চিকিৎসা বন্ধ করতে বলেছেন। আবার ডা. ইমরান হোসেন নিজে পশু চিকিৎসা দিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা গ্লহন করেন। যা নিয়ে নিজ দপ্তরেই জটিলতা হয়। আর এই জটিলতার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়াও বারুইপাড়া ইউনিয়নের কোদলা গ্লামের শ্যামল নামের এক খামারির গরুর চিকিৎসা দিয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগে ডা. ইমরান হোসেনকে শোকজ করেছিলেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান। বাগেরহাটে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেন বলেন, প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজম খান অনেকদিন ধরে অনিয়মিত ছিলেন। তাকে কয়েকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও, তিনি সংশোধন হননি। যার কারণে তাকে শোকজ দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোঃ আজম খান আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয় এবং সুযোগ পেয়ে সোমবার রাতে কাজ শেষে ফেরার পথে মোঃ আজম খান তাদের লোক দিয়ে আমার উপর হামলা করায়। গাড়ি থেকে নামলে হয়ত আরও বেশি কিছু হতে পারত। অভিযুক্ত প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমি এই হামলার সাথে জড়িত নয়। স্যারের উপর যখন হামলা হয়েছে তখন আমি যাত্রাপুর বাজারে ছিলাম। আমাকে শুধু শুধু ফাঁসানো হচ্ছে। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

(ঊষার আলো-এফএসপি)