জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে মহিলারা
বাগেরহাট প্রতিনিধি : ১৯৭১ বাগেরহাট সদরের ডেমা ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী কাড়াপাড়া ইউনিয়নের রাধাভল্বব এলাকায় হত্যা, লুট, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগকারী রাজাকার মকবুল তরফদারের বিচারের দাবিতে স্থানীয় ডেমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যর মা গুলিবিদ্ব ছকিনা বেগম শনিবার (১০ এপ্রিল) ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন, আমার পুত্র সজিব তরফদার আমার বসতবাড়ীর পশ্চিম পার্শে¦র চা পানের দোকানের সামনে সজিব ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী আলাপ আলোচনা করছিলো। এমন সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নাগের ডেমা গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার তরফদার মকবুল হোসেন ও তার সন্ত্রাসী পুত্র শিবির ক্যাডার মহিবুল হাসান মিন্টুর নেতৃত্বে আমার পুত্র ও তার সমর্থকদের হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন, লোহার রড.রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় মকবুল তরফদার ও তার সন্ত্রাসী পুত্র শিবির ক্যাডার মিন্টু বাহিনীর লোকজন। তাদের হামলা ও গুলিবর্ষনে আমার দেবর রিপন তরফদার গুরুত্বর জখম হয়। আমার দেবর হামলাকারীদের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আমি এগিয়ে আসি। এ সময় আসামী মকবুল তরফদারের বন্দুক দিয়ে হামলাকারীরা আমার বাম কানের নিচে বুকের পাজরেসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে,আমার নাতি এগিয়ে আসলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়।আমার সাথে থাকা একাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় আসামী গন আমার পুত্র সজিব ও তার সমর্থকদের মোটর সাইকেল ও দোকানের সামনে থাকা চেয়ার ভ্ংাচুর করে। পরবর্তীতে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমি আমার দেবরসহ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনে পরে আমাকে ও দেবর রিপন এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমাদেরকে জরুরী বিভাগের ডাক্তার খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করে।
ঘটনার পরে আমিসহ আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত থাকায় আমার ছোট পুত্র মোঃ রাজিব তরফদার বাদি হয়ে হত্যার উদ্দেশে দাংগা করিয়া গুলিবর্ষনসহ গুরুত্বর জখম ,ভাংচুর ও হুমকির অভিযোগে ডেমা ইউনিয়নের রাজাকার ও ভুমিদস্যু তরফদার মকবুল এর ছেলে সন্ত্রাসী মহিবুল হাসান মিন্টুকে প্রধান আসামী ও তরফদার মকবুল হোসেনকে ২নং আসামীসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জনকে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকেই তরফদার মকবুল হোসেনের সন্ত্রাসী পুত্র শিবির ক্যাডার মিন্টু তার দলের ক্যাডার ও বহিরাগত লোকজন দিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধুমকি দিচ্ছে। আমারা চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত থাকার সুযোগে মকবুল তরফদারের ছেলে এই মিন্টু বাহিনী ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমার ছেলে সজিবের ঘেরের মাছ লুট করে নিয়েছে। মামলা থেকে কয়েকজন আসামী জামিনে মুক্ত হয়ে লোহার রড.রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ীতে গিয়ে আমাকে খোজে এবং মামলা তুলে নেওয়াসহ আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি ধুমকি দিয়েছে ।এই রাজাকার মকবুল তরফদার ১৯৭১ সালে রাধাভল্বব গ্রামের অমেত্ত মেম্বরের বাড়িতে লুটপাট করে ও বাড়ির মহিলাদের ধর্ষন করে। অমেত্ত মেম্বরের তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। পরে দেশ স্বাধীন হবার পরে মকবুলকে মুক্তিবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। জেলে থেকে বি কম পরীক্ষা দেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক ফকির হজ্জ করতে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থাকে মকবুল মাস্টারের উপর। প্রধান শিক্ষক হজ্জ থেকে ফিরে আসলে মকবুল মাস্টার তার উপর দায়িত্ব বুঝিয়া দেয় নাই জোর পুর্বক তার ইস্তফার স্বাক্ষর নিয়ে প্রধান শিক্ষক বনে যান।অর্থ পিপাষায় লিপ্ত হয়ে নিরীহ জনগনের জমি হারির টাকা না দিয়ে জোর করে মাছের ঘের করে। এলাকার নিরীহ জনগন এর প্রতিবাদ করলে নিজ কর্মচারী হালিমকে হত্যা করে। এলাকার নিরীহ মানুষের এলাকা ছাড়া করে এলাকার মোসলেম সরদার,ইউনুস সরদার,আকতার তরফদার,জালাল তরফদারসহ অনেকের বাড়ি লুট করে। এর পর অর্থ বিত্তর মালিক হয়ে সদর থানা বিএনপির সহসভাপতির পদ দখল করেন। পরে ইউপি নির্বাচনে ৫বার অংশগ্রহন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। প্রতিবার পরাজিত হয়ে এলাকার নিরীহ মানুষকে নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করেন। ষষ্ঠবার আবারো নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বিএনপির লোকজন নিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে জয়লাভ করে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় লুটপাট এর রাজনীতি শুরু করেন এবং শতকোটি টাকার মালিক হন। টাকার জোরে ইউনিয়নের অনেক লোককে বাড়ি ছাড়া করেন এবং দেলোয়ার তরফদার,আজাহার তরফদার,রুস্তমসহ অনেককে এলাকা ছাড়া করেন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আক্তার আলী তরফদার ও আনোয়ার হোসেনকে গুলি ও জবাই করে হত্যা করেন ১৯৭১ এর সেই কসাই মকবুল। খুন করার অপরাধে একাধিক মামলার আসামী তিনি। মকবুল তরফদার একজন পেশাদার খুনি। খুনি মকবুল এর বিরুদ্বে ডেমা ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আকতার আলী তরফদারকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করেছে,এছাড়া আনোয়ার তরফদারকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করার কারনে দীর্ঘ দিন জেল হাজতে ছিলেন।২০০৭ সালে ডেমা ইউনিয়ন পরিষদ এর বরাদ্বকৃত টাকা ও ক্ষতিগ্রস্থদের নামের টাকা আত্বসার্থ করেন এবং অসহায় ৭৫জন গরীব মানুষকে ভুমিহীন জমি ও ঘর কওে দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা নেন কিন্তু গায়ের জোওে অদ্যবদী সেই টাকা ফেরত দেননি। সেকারনে সেনা বাহিনী তাকে আটক করে।এবং সস্তমবার নির্বাচনে মকবুল এর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।শুধু তাই নয় এই কুখ্যাত রাজাকার ভুমিদস্যু মকবুল তরফদার,হরিপদ মাষ্টারের ১৫ বিঘা,আহম্মদ তরফদারের ২বিঘা,বাচ্চু ফকিরের ৩বিঘা,ইকবাল ফকিরের ১বিঘা,হেনা তরফদারেরর ২বিঘা,আজাহার শেখ এর ২বিঘা,হামেদ শেখ এর ২বিঘা,খোকা শেখের ১ বিঘা,মতিয়ার এর ১বিঘা জমিসহ অনেক নিরিহ লোকের জমি জমা জোর পুর্বক দখল করে নিয়েছেন।স্থগিত ১১ই এপ্রিল ১০নং ডেমা ইউনিয়নের নির্বাচন এই নির্বাচনে আমার পুত্র সজিব পুনরায় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী থাকায় তাকে পরাজিত করানোর জন্য ভুমিদস্যু মকবুল তার সন্ত্রাসী পুত্র মিন্টু ও তাদের পান্ডার দল এলাকার চিহ্নিত দালাল প্রতারক সর্বদলীয় বনি ভাইয়ের পুত্র বখাটে বাপ্পীকে সদস্য পদে প্রার্থী করেছে।তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে ওই সন্ত্রাসীরা এলাকায় ভোটারদের ভয়ভীতি হুমকী প্রদর্শন করছে।এই মকবুল ও মিন্টুর বাপবেটার পান্ডার দলের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।তার সন্ত্রাসী পুত্র মহিবুল হাসান মিন্টু বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া একটি এনজি খুলে সাধারন মানুষকে ছড়া সুদে লোন দিয়ে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান ছকিনা বেগম। তিনি আরো বলেন, এই মকবুল রাজাকার এর পুত্র সন্ত্রাসী মহিবুল হাসান মিন্টু বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া শুধু মাত্র সমবায় থেকে একটি নিবন্ধন করে যার নং ৫২ ০৫/০৫/২০০৯ সাল থেকে শুরু করে শহরের দশানীতে মেঘনা মাল্টিপারপাস কোÑ অপারেটিভ সোসাইটি নামে লি: নামে একটি এনজি খুলে সাধারন মানুষকে ছড়া সুদে লোন দিয়ে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে।যার অডিট রিপোটে দেখা যায় সদস্য সংখ্যা ১৩৪ জন কিন্তু বাস্তবে ডেমা এলাকাতেই রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। এই সমিতির যে সঞ্চয় ও আমানত দেখিয়েছে তার বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই। এর ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রয়েছেন মিন্টু,তার বোন,মা,মামাসহ নিজের পরিবারের লোক।যাহা ০৫/০১/২০২১ এর সর্বশেষ অফিসের অডিট রিপোটের প্রতিবেদনের কপি রয়েছে।শুধু তাই নয় এই মিন্টু ডেমা ইউনিয়ন তথা অত্র এলাকার জামাত শিবিরের অর্থ যোগান দাতা তিনি ডেমা ইউনিয়নের শিবিরের সংগঠনকে লালন পালন করেন এটা সর্বজন স্বীকৃত গোপনে খোজ নিলে আরো ভয়ংকর তথ্য জানতে পারবেন।শুধু তাই নয় তার ঘেরের বাসায় প্রায়ই শহর থেকে অপরিচিত মাস্তানদের নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দেয়,নেশা করে এবং সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করে।তার ব্যাক্তিগত যে ক্যাডার বাহিনী রয়েছে তারা প্রায় সবাই মাদকাশক্ত এরা বাশ বাড়ীয়া,ডেমা,সন্নাসী,রাস্তার মাথা,কালিয়া,চানপুর,আব্দুল রসুলপুর এলাকায় মাদক বেচাকেনা করে।আমরা তাদের কালো টাকার প্রভাব,সন্তান ও ,মাস্তান বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাইনা।এই মিন্টু বাগেরহাট মিঠাপুকুর পাড় অগ্রনী ব্যাংক থেকে তারই নিজস্ব লোক রবিউল ইসলাম,পিতা মৃত: কাশেম আলী জামাল তরফদার পিতা মৃত: ইয়াছিন তরফদার।ইসরাফিল গাজী পিতা মৃত: আ: খালেক গাজী,। জেহের গাজী পিতা ঐ সর্ব সাং নাগের ডেমা। নাদিম মল্লিক পিতা : আফজাল মল্লিক। জসি মল্লিক পিতা আকো মল্লিক সর্ব সাং পিসি ডেমা। এছাড়া তার ঘেরের কর্মচারী বাদল নিকারী,মোশারেফ হোসেন,আ: মালেকদের দিয়ে তঞ্চগত কাগজপত্র দাখিল করে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে।এর সাথে ব্যাংকের ততকারীন কতিপয় কতৃপক্ষরা ও জড়িত রয়েছেন।এবং এই লোনকারীদের কোথাও ৫ শতক জমি নাই আমরা তদন্ত পুর্বক এই দুনির্তীর বিচার চাই। আজ আমাদের দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে তাই আমরা সাহস করে এসেছি।
তাই আমরা চাই রাজাকার ভুমিদস্যু,১৯৭১ লুট নারী ধর্ষন,অগ্নিসংযোগকারী মকবুল এর বিচার এবং তার পুত্র সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার অবৈধ ভাবে গ্রামের নিরিহ লোকদের টাকা দিয়ে চড়া সুদ আদায় করার বিচার,মাদক কারবার করার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি।এবং অগ্রনী ব্যাংক থেকে বেনামে লক্ষ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে অবৈধ লেন দেন এর বিচার।আপনাদের কাছে বিনিত অনুরোধ গোপনে তদন্ত করলে মিন্টুর নামে আরো ভয়ংকর তথ্য পাবেন যাহা আমরা সব সাহস করে বলতে পারছিনা।তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে অত্যাচারী, খুনি,ভুমিদস্যু ও কুখ্যাত রাজাকার তরফদার মকবুল হোসেন ও তার সন্ত্রাসী পুত্র মিন্টুর সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে দ্রুত প্রশাসনের কাছে তাদের বিচারের জোর দাবি জানান।এবং তদন্ত পুর্বক ১৯৭১ এর লুট,অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষনকারী এই রাজাকার মকবুল এর বিচারের ও দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)