UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে শিশু হত্যার দায়ে দুই-কিশোরের ৭ বছরের কারাদন্ড

usharalodesk
জুন ২২, ২০২১ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাঞ্চল্যকর হ্নদয় (১৬) নামের এক শিশুকে হত্যার দায়ে দুই কিশোরকে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দন্ডিতরা শিশু হওয়ায় তাদের কারাগারে না রেখে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেন আদালতের বিচারক। বাগেরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ নূরে আলম মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভার মালগাজী এলাকার মৃত বাবুল হাওলাদারের ছেলে জিহাদুল ইসলাম জিহাদ (১৭) এবং একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে শাহীন হোসেন (১৭)। আর নিহত হ্নদয় তালুকদার মোংলা পৌরসভাধীন আব্দুল হাই সড়কের দুলাল তালুকদারের ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবারনে ও রায় বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রণজিৎ কুমার মন্ডল জানান, খুন হওয়া হ্নদয় ও দন্ডিত আসামী জিহাদুল ও শাহীন এরা পরষ্পরের বন্ধু ছিল। এরা তিনজনই মাদকাসক্ত। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ মে রাত ৮টার দিকে মাদকসেবন করা নিয়ে হ্নদয়ের সাথে শাহীন ও জিহাদের দ্ব›দ্ব হয়। এ দ্ব›েদ্বর জেরে শাহীন ও জিহাদ দ’ুজনে মিলে হ্নদয়কে মাথায় আঘাত করে পরে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। পরে নৌবাহিনীর ক্যাম্পের ভেড়িবাঁধ এলাকায় মৃতদেহটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরের দিন পুলিশ হ্নদয়রের মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৩০ মে নিহত হ্নদয়রের পিতা দুলাল তালুকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিআইডি পুলিশ তদন্তভার গ্রহন করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই নিহতের দুই বন্ধু জিহাদ ও শাহীনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শিশু আইন অনুযায়ি দুই আসামী দোষি সাব্যস্ত হয়। তাদের প্রত্যেককে ৭ বছরের কারদন্ড দেয়া হয়। আসামীরা শিশু হওয়ায় ২০১৩ সালের ৩৪ ধারা মতে ৭ বছর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেন। আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী বিধান চন্দ্র মন্ডল। রায় ঘোষণার পর আসামী পক্ষের আইনজীবী বিধান চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমার মক্কেল মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

(ঊষার আলো-আরএম)