আরিফুর রহমান (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ ও ফকিরহাট উপজেলায় ৩ দিনে নারী এবং একজন মাদ্রাসাছাত্রসহ পর পর তিন জন আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকৃতরা হলো ফকিরহাট উপজেলা সদরের জাড়িয়া এলাকার নিরঞ্জন ব্যানার্জী (৬৫), মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালী এলকার মাদ্রাসা ছাত্র জুম্মান খান (১৬) ও একই উপজেলার সানকি ভাঙ্গা গ্রামের ঝর্না বেগম (৪৬)। তিন জন গলায় রশি দিয়ে ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ বলছে।
ফকিরহাট থানার ওসি মুহা, আলীমুজ্জামান বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাড়িয়া এলাকার নিরঞ্জন ব্যনার্জী রবিবার রাতের যে কোন সময় বাড়ীর পাশেই একটি গাছে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে থাকে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহালশেষে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ওই রাতে নিরঞ্জন বানার্জীর বাড়ীতে কেহ ছিলনা। বিষন্নতার কারনে তিনি আত্মহত্যা করতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন।
এদিকে মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, রবিবার ভোর রাতে উপজেলার বারুইখালী এলাকার নুর ইসলাম খানের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মাতা লাইলি বেগম জানান, জুম্মান শনিবার রাত ৯ টার দিকে প্রতিবেশী একজন মৃত মানুষের জানাজায় যায়। এখান থেকে ফিরতে দেরী দেখে মা লাইলী বেগম খুজতে যায় এবং রাত ২ টার দিকে বাড়ীর বাগানে একটি গাছে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলেকে দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দেয়। খবর পেয়ে ভোর রাত নাগাদ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। এর আগের দিন উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের সালাম শেখের স্ত্রী ঝর্না বেগম বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারী লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক ৩ টি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায়।
(ঊষার আলো-এফএসপি)
