ঊষার আলো রিপোর্ট : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে মেছোবাঘের আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার উপজেলার রাউৎভোগ ও রব-নগরকান্দি এবং মটুকপুর গ্রামের কয়েকশত পরিবার রাতে আতঙ্কে রয়েছে। বুধবার উপজেলার রাউৎভোগ গ্রামে দুটি মেছোবাঘ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো হলে বাঘ দুটি পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাউৎভোগ গ্রামের কাদির মেম্বার বাড়ির পাশের পানের বরজের ভেতরে আহত অবস্থায় একটি মেছোবাঘ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী তাকে ধরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলে। এটি পাঁচ ফুট লম্বা বিশাল আকৃতির ছিল। কিন্তু একটি মেছোবাঘ এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহিন জানান, বেশ কিছু দিন ধরে দুটি মেছোবাঘ উপজেলার রবনগর কান্দি ও পাশের রাউৎভোগ এলাকায় চলাফেরা করছিল। মেছোবাঘগুলো রবনগর কান্দি এলাকার তারা মিয়ায় চায়ের দোকানের সামনে থেকে কিছু দিন আগে ছাগলের বাচ্চা ধরে নিয়ে যায়। এছাড়া বাঘ দুটির গর্জনে ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বুধবার সন্ধ্যায় মেছোবাঘ রাউৎভোগ এলাকায় গর্জন করলে সন্ধ্যার দিকে ওই এলাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে বাঘের ওপরে হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাঘটিকে কাদের মেম্বারের বাড়ির সামনে ঘেরাও করে স্থানীয়রা। কিন্তু বাঘের গর্জনে সামনে গিয়ে কেউ আক্রমণ করতে সাহস পাচ্ছিল না। একটি ছেলে টেটা ছুড়ে মারলে সেটি বাঘের শরীরে বিদ্ধ হয়। এ সময় বাঘটি টেটার কুড়া ভেঙে কাদের মেম্বার এর পুকুরের পানিতে লাফিয়ে পড়ে। পরে চারদিকে লোকজন জড়ো হলে বাঘটি পালিয়ে যায়। পরের দিন এলাকাবাসী বাঘটিকে ধরে মেরে ফেলে। বাঘটি মেরে ফেলার খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন এসে এলাকাবাসীকে বাঘ দেখলে না মেরে তাদের খবর দিতে বলে গেছেন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির জানান- বাঘ মারার খবর শুনে আমি রাউৎভোগ গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হয়ে দেখি বাঘটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। পরে আমি স্থানীয়দের ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেছি, এ ধরনের বাঘের সন্ধান যদি তারা পান তাহলে না মেরে যেন আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা উদ্ধার করে নিয়ে যাব।
ঊষার আলো-এসএ