UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ানো হয়েছে সীমান্তবর্তী জেলায় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট

usharalodesk
জুন ৯, ২০২১ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : বাংলাদেশে গত বছরের অক্টোবর মাসে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। শুরুতে ১০ জেলার কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট করোনা হলেও সম্প্রতি এ টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর অ্যান্টিজেন টেস্ট আরও বাড়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলেছেন, দেশে সব মিলিয়ে ৩৩৪ টি স্থানে এখন র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৩ হাজার ৩৮০ টি। ৮ জুন মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার ছিল র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। ১ সপ্তাহ আগেও এ সংখ্যা অন্তত ১ হাজার কম ছিল।
অ্যান্টিজেন টেস্টের শুরুতে গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, যশোর, মেহেরপুর ও সিলেটে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন সবচেয়ে বেশি এই পরীক্ষা করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে। বিশেষ করে যেখানে সংক্রমণ বেশি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, সিলেটসহ দক্ষিণ-পশ্চিম ও সীমান্তবর্তী যেসব জেলাতে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তাই এ অঞ্চলগুলোতে অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। ব্রাকের মাধ্যমে অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। রাজশাহীতে ৬ জুন ৫ জায়গায় অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়।
এমনকি বাড়ি বাড়ি যেয়েও টেস্ট করানো হচ্ছে। এখন দেশের বেশিরভাগ সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলমগীর।
তিনি বলেছেন, যেসব জায়গায় সংক্রমণের হার অনেক বেশি সেখানে মূলত স্ক্রিনিং-এর জন্য পাড়ায় পাড়ায় বা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই পরীক্ষাটি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদের সংক্রমণ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করার মতো কোন উপসর্গ রয়েছে এমন কারোর নাক থেকে নমুনা নিয়ে একটা কিটে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে করোনা শনাক্ত হলে তাকে আর পিসিআর পরীক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে না। কিন্তু উপসর্গ থাকার পরও যদি ভাইরাস শনাক্ত না হয় তখন অধিকতর পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হচ্ছে।
যেখানে সংক্রমণ অনেক বেশি সেখানে উপসর্গ নাও থাকতে পারে এরকম ‘অ্যাসিম্পটমিক’ ব্যক্তিদের করানো হচ্ছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। এছাড়া স্থলবন্দর হয়ে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এরপরই ইমিগ্রেশন পার করে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে।
পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হলে অ্যান্টিজেন ছাড়া উপায় নেই। এই পরীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা ৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছে এই স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)