দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষা খাতে একের পর এক ডিক্রি জারি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবারও নতুন করে আরেকটি ভয়াবহ নির্দেশ দিয়েছে তার প্রশাসন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোকে শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচি (এফ.এম.জে) ভিসার সাক্ষাৎকারের শিডিউল দেওয়া স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
শিগগিরই বিদেশি আবেদনকারীদের জন্য কঠোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চালু করার প্রস্তুতির অংশ হিসাবেই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিনই পৃথক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরকারি সব ধরণের আর্থিক চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এসব চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ১০ কোটি ডলার তহবিল দেওয়ার কথা ছিল হার্ভার্ডকে।
সাক্ষাৎকার স্থগিত ইস্যুতে দূতাবাসগুলোকে পাঠানো মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ক্যাবল বার্তায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করা যাবে না।
নতুন এ নির্দেশনা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। ক্যাবল বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যমান অপারেশন এবং ভেটিং প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণের বিস্তৃত রূপ শিগগিরই জারি করা হবে। মার্চ থেকে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে জড়িতদের লক্ষ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাধ্যতামূলক পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। সেখানে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি সমর্থন’ সংক্রান্ত প্রমাণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এমনকি ‘বিতর্কিত’ পোস্ট ডিলেট করলেও সেগুলোর স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করতে বলা হয় কনস্যুলার অফিসারদের। ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও সম্প্রতি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ