ঊষার আলো ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে এখন ফুটবল বিশ্বকাপের আমেজ চলে। দিন দুয়েক পরই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ শুরু হবে।
ইতোমধ্যে অনেকগুলো দেশ পৌঁছে গেছে স্বাগতিক দেশ কাতার। তাদের মধ্যে অন্যতম আর্জেন্টিনা, আর তারা উঠেছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। মূলত একটু খোলামেলা জায়গার খুঁজে বের করেই হোটেল ছেড়ে জায়গাটিতে গিয়েছে তারা।
আলবিসেলেস্তেদের সাথে অনেক কিছুই আছে। তবে তার মধ্যে আলাদা হচ্ছে গরুর মাংস।
ইএসপিএন আর্জেন্টিনা জানায়, একটু-আধটু নয়, দেশ থেকে প্রায় ৯০০ কেজি গরুর মাংস নিয়ে গেছেন তারা। এগুলো দিয়ে মূলত আর্জেন্টিনার বিখ্যাত খাবার ‘আসাদো’ তৈরি হবে। এই একই কাজ করেছে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দল উরুগুয়েও।
‘আসাদো’ খাবার নিয়ে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘এ খাবার আর্জেন্টিনার সংস্কৃতির অংশ। আমরা যখন কথা বলি, হাসি, নির্ভার থাকি ও অন্যদের সাথে মিশি… তখন ‘আসাদো’ থাকে। এ খাবার আমার সবচেয়ে প্রিয়। কিন্তু এখানে ব্যাপারটা আরও বড়। এর মাধ্যমে দলের ভেতরে বন্ধন আরো মজবুত হবে, একতা বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি হবে। ’
আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপে এসেছে ৭২ জনকে নিয়ে। তাদের মধ্যে কোচ, স্টাফ এবং ফুটবলররা আছেন। মধ্যপ্রাচ্যে এসেও তারা যেন দেশের স্বাদ পান, এ জন্যই মূলত নিয়ে আসা হয়েছে খাবার। উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইগানসিও আলোনসো বলেন, এ আসাদোই নাকি পৃথিবীর সেরা খাবার।
তিনি জানান, ‘বিদেশে উরুগুয়ের ঐতিহাসিক প্রতিনিধি হচ্ছে ফুটবল দল। এক প্রতিনিধি কাতারে আরেকটি প্রতিনিধিকে নিয়ে গেছেন, সেটা হচ্ছে উরুগুয়ের মাংস ও এটা পৃথিবীর সেরা। বিশেষ চা, মাংস ও ফুটবল একসাথে আমাদের সংস্কৃতিকে নিয়ে গেছে। ’
(ঊষার আলো-এফএসপি)