ঊষার আলো ডেস্ক : বিশ্বে প্রতি ৩ জন নারীর মধ্যে প্রায় ১ জন কখনো না কখনো যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে নারীদের প্রতি নৃশংসতা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
৯ মার্চ মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি এ বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য সেবার মান আরও উন্নতি এবং নারী-পুরুষের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংস্থাটি বলেছে, ওই সকল নারীরা আর্থিকভাবে সচ্ছল না হওয়াই পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। কিন্তু এরপরও তারা এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, সমঝোতার ভিত্তিতে পারষ্পরিক সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং পরস্পরের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে ছোট থেকেই শিশুদের স্কুলে শিক্ষা দেওয়া উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস জানান, ‘বিশ্বের সব দেশে এবং সব সংস্কৃতিতে নারীদের উপর নৃশংসতা খুবই নিয়মিত চিত্র। যার ফলে লাখ লাখ নারী এবং তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনা মহামারীর সঙ্গে নারী নির্যাতন আরও বেড়ে গেছে।’
২০০০ সাল থেকে শুরু ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের ৩১ শতাংশ নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। যা সংখ্যায় ৮৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করেন অধিকাংশ সময়ে স্বামী বা সঙ্গীর হাতেই নারীরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। গরীব দেশগুলোতে এই চিত্র হতাশাজনক। যৌন নিপীড়নের অনেক তথ্য অজানা থাকার কারণে জরিপে নিপীড়িত নারীর প্রকৃত সংখ্যা উঠে আসছে না।
এই জরিপের লেখক ক্লাউডিয়া গার্সিয়া-মরেনো মনে করে কোনো কোনো অঞ্চলে অর্ধেকের বেশি নারীরা কোনো না কোনো ভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল, সাব সাহারা আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নারী নির্যাতন বেশি হয়। সবথেকে কম নিপীড়নের শিকার হন ইউরোপের নারীরা, এ ক্ষেত্রে তাদের হার ২৩ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় এই নিপীড়নের স্বীকার তরুণ বয়স থেকেই শুরু হয়।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)