UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

usharalodesk
মার্চ ১৫, ২০২১ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বিভিন্ন দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ উত্তাল। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে নেদারল্যান্ডসে লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। কোভিড-১৯ বিধি কঠোরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে সার্বিয়াতেও। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ইরাকে।
ইরাকে ১৪ মার্চ রোববার সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইরাকের নাজাফের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক আটকে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। আঞ্চলিক সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে অবিলম্বে সরকার ও ২ উপপ্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শব্দ বোমা ও গুলি ব্যবহার করেছে পুলিশ।
বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ানিন আনেজের বিরুদ্ধে ¯েøাগানে মুখর ছিল আশপাশের পরিবেশ। ২০১৯ সালে বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ানিন আনেজের তার মেয়াদে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতের স্বজনরা প্রতিবাদ করেন।
আনেজকে আটক করার পর তাকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালে আনেজ ক্ষমতায় থাকাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৬ জন মৃত্যু হন। গতকাল রোববার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিজের বিরুদ্ধে শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে।
নেদারল্যান্ডস: রোববার নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে প্রথম প্রহরে হেগের রাস্তায় নেমে আসে কারফিউ বিরোধীরা। করোনাবিধি কঠোরের প্রতিবাদ জানায় তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবাদে পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদেরকে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে জলকামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের জমায়েত ঠেকাতে বন্ধ করে দেয়া হয় মেট্রোসেবা।
সার্বিয়া: করোনায় কঠোরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে সার্বিয়াতেও। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে বেলগ্রেডের রাস্তায় নেমে আসে দেশটির সাধারণ মানুষ। যোগ দেন সংগীত শিল্পীরাও। স্টেজ পারফর্মেন্স ও কনসার্ট বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
এক বছর আমরা কোনো মতে চলেছি। এখন আমাদের হাতে আর কোনো কাজ নেই। আমরা মনে করি, আমাদের কাজ বন্ধ করার অধিকার দেশের নেই। কেননা সাংবিধানিকভাবে আমাদের কাজ করার অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে এক আন্দোলনকারী। রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো বেশি করে সহায়তাও আশা করছেন তারা।

 

(ঊষার আলো-এম.এইচ)