ঊষার আলো ডেস্ক :মণিপুরে আবার নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার কাংপোকপি জেলায় মেইতি এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে, মেইতি সম্প্রদায়ের একজন নিহত হয়। এ ছাড়া পুলিশ কমান্ডো ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন কমান্ডো আহত হন। টেংনোপাল জেলায় গত ৪ ডিসেম্বর বন্দুকযুদ্ধে ১৩ জন নিহত হওয়ার ২৬ দিন পার হতেই আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
মণিপুর চলতি বছরের মে মাস থেকেই জাতিগত সহিংসতার কবলে পড়েছে। রাজ্যের সবচেয়ে জনবহুল সম্প্রদায় মেইতি এবং উপজাতীয় কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ৩ মে এর পর থেকে বেশিরভাগ সহিংসতা সংঘটিত হয়েছিল। তখন থেকে সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরতিহীনভাবে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল শনিবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের গ্রাম প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। পুলিশ জানায়, কংচুপ থানার অন্তর্গত নাখুজং এবং সিংদা কুকি গ্রামের পাহাড়িদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। যা চলে প্রায় ভোর ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।
পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, গুলিবর্ষণে ইম্ফল পশ্চিমের বাসিন্দা নিংমবাম জেমস নামে একজন মেইতি ব্যক্তি আহত হন এবং তাঁকে ইম্ফলের জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (জেএনআইএমএস) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরে তিনি মারা যান। কাংপোকপিতে একটি কুকি সংগঠন ‘কমিটি অন ট্রাইবাল ইউনিটি (সিওটিইউ)’ দাবি করেছে, কুকি গ্রামের কাছাকাছি অবস্থিত একটি জঙ্গলে মেইতি যুবকরা কাঠ কাটা শুরু করেছে। এ নিয়ে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
এদিন বিকেলে একটি পৃথক ঘটনায় মায়ানমার সীমান্তের কাছে ইম্ফল-মোরেহ মহাসড়কে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন কমান্ডো আহত হন।