ঊষার আলো ডেস্ক : বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলাটি থানা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মামলাটির দায়িত্ব আমরা বুঝে নিয়েছি। রিমান্ড পাওয়ার পর ফারদিনের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার নাম আয়াতুল্লাহ বুশরা। তাকে এর আগেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
‘এ ছাড়াও অপরাধীদের ধরতে নগরীর বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই চলছে। এই হত্যাকাÐের পেছনে পারিবারিক বা সামাজিক কোনো ঝামেলা ছিল কি না, তা-ও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে আমরা এখনই বলতে পারছি না। একটু সময় লাগবে। আমাদের দুই-তিনটি টিম কাজ করছে। আরও পারিপার্শ্বিক বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।’
১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ : অপরদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসানের আদালতে ফারদিন হত্যা মামলার এজাহার আসে। বিচারক তা গ্রহণ করে রামপুরা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ গোলাম মউলাকে মামলাটি তদন্ত করে ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এদিন একই আদালত ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরা এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা নূর উদ্দিন রানা। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত হয়।
১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
ফারদিন রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার সাংবাদিক কাজী নূর উদ্দিন রানার ছেলে। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ময়নাতদন্ত শেষে ৮ নভেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’