ঊষার আলো রিপোর্ট : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছে আদালত। একই সঙ্গে অপর আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ সোহাগ মেম্বারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ মার্চ বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীন শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেছেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ লাভলু বলেন, শুনানিকালে চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। অপর আসামিদের মধ্যে ৪ জন পলাতক রয়েছে।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ১৪ আসামির বিরুদ্ধে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ৫ অক্টোবর নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি দায়ের করে।
এর আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে জয়কৃষ্ণরামপুর গ্রামের ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের একটি ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে আসামিরা। পরে গত বছরের ৪ অক্টোবর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। নির্যাতিতা নারী থানায় মামলা করলে আসামিদের আটক করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢোকে। বিষয়টি দেখে পেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে মারধর শুরু করে।
একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। গত ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে আবুল কালামের সহযোগিতায় গৃহবধূর বাড়িতে ও বিলে নিয়ে নৌকার মধ্যে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে দেলোয়ার। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের ঘটনায় দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মোট ৩ টি মামলা দায়ের করে। ৬ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দেলোয়ার ও আবুল কালামকে আসামি করা হয়।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)