ঊষার আলো ডেস্ক: লেবাননের বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলি থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে শনিবার রাতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এরপরই এসব জায়গায় রাতভর ৩০ দফা ভারি বিমান হামলা চালিয়েছে তেল আবিব।
ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর এই রাতটিকে বৈরুতের সবচেয়ে ‘সহিংস রাত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ)।
এনএনএ জানিয়েছে, ‘ইসরাইলি শত্রুর যুদ্ধবিমান থেকে (বৈরুতের) দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে চারটি খুবই ভয়ংকর হামলা চালানো হয়েছে এবং একটি হামলা হয়েছে চুয়েফাত এলাকায়। হামলার পর ওই এলাকায় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখা গেছে।’
লেবানন থেকে এএফপির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, দাহিয়েহ নামের শহরটি এখন কালো ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে আছে। যেখানে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহে হত্যা করে ইসরাইল। এ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এ কারণেই সেখানে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
হামলার আগে ‘হিজবুল্লাহর ঘাঁটি’ বলে বাসিন্দাদের সরে যেতে আহ্বান জানায় ইসরাইলি বাহিনি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য, আপনাকে অবিলম্বে মনোনীত বিল্ডিংগুলো এব সংলগ্ন এলাকা সরে যেতে হবে এবং এসব স্থাপনা থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিটার দূরে সরে যেতে হবে’।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বৈরুতের (দক্ষিণাঞ্চলে) ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে এখন বিমান হামলা চালাচ্ছে’।
বৈরুতে লেবাননের একমাত্র বিমানবন্দরটি ইসরাইলি আক্রমণের লক্ষ্যস্থলের কাছেই। আরেক খবরে এনএনএ নিশ্চিত করেছে, ইসরাইলি আগ্রাসন সত্ত্বেও মিডল ইস্ট এয়ারলাইন্সের বেশ কয়েকটি বিমানের ফ্লাইট চলমান ছিল।
এদিকে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র গতকাল শনিবার জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিয়েদ্দিনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সাফিয়েদ্দিনের অবস্থা নিয়ে হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
ঊষার আলো-এসএ