মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ভারতের হামলার পর পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানের এই সংঘাতে সরাসরি কোনো না কোনো পক্ষ নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে দেশগুলো।
যদিও পাকিস্তানের দাবি, ভারতের হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।এদিকে চলমান ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে ইসরাইল।
ভারতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, নিরীহদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করে লুকিয়ে থাকার কোনো স্থান নেই।’
ভারতের হামলার পরপরই ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিপরীতে পাকিস্তানের প্রতি সংহতি জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তুরস্ক। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের চরম উত্তেজনায় বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে টেলিফোন করেছেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। এ সংকটে উভয় দেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে থাকতে রাজি হয়েছে।
অন্যদিকে কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মিরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
হামলা-পাল্টা হামলা নিয়ে উভয় দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ