ক্রীড়া ডেস্ক : পাকিস্তানের মাটিতে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না ভারত। বিপরীতে তাদের দাবি, ভারতের ম্যাচগুলো যেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করা হয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর যত এগোচ্ছে এমন গুঞ্জন ততই শক্তিশালী হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ।
ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে যখন চলছে নানা ধরণের গুঞ্জন; তখন এ নিয়ে বোর্ডপ্রধান মহসনি নকভিও ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার ভাষ্য, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পাকিস্তান অনেক ভাল নমনীয়তা দেখিয়েছে। তবে, সবসময় এমনটি হবে সেটিও আমরা আশা করি না।’ অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না আসলে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন নকভি।
এবার রশিদ লতিফও একই কণ্ঠে কণ্ঠ মেলালেন। সেই সঙ্গে ভারত বয়কটের হুমকিও দিয়ে রাখলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
রশিদ বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বা এশিয়া কাপ হলে, দলগুলিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারত খেলতে চায় কি না। তবে এটি একটি আইসিসি ইভেন্ট। চক্রটি ২০২৪-২০৩১ সাল পর্যন্ত স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমস্ত সম্প্রচারকারী এবং স্পনসররা এই বিষয়ে স্বাক্ষর করেছেন যে দলগুলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা বিশ্বকাপে অংশ নেবে।’
লতিফ আরও বলেন, ‘যদি কোনো দল অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করে, তাহলে তাদের আহ্বানের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তাদের একটি শক্ত কারণ থাকতে হবে। ঠিক যেমন ১৯৯৬ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়া শ্রীলংকায় যায়নি কিন্তু পরে ফাইনালে পৌঁছেছিল। আপনি যদি নিরাপত্তার কারণ দেখান, তাহলে এটা সঠিক নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো পাকিস্তানে আসছে।’
ভারত পাকিস্তানে না এলে কি হবে সেটা জানিয়ে রশিদ লতিফ বলেন, ‘আইসিসি শুধুমাত্র পাকিস্তান এবং ভারত আছে বলেই টিকে আছে। পাকিস্তান সরকারও যদি ভারতের মতো বলে যে আমরা খেলব না, তাহলে আইসিসির কোনো লাভ হবে না। কারণ কেউ ম্যাচটি দেখবে না।’
পাকিস্তানের হয়ে ৩৭টি টেস্ট ও ১৬৬ ওয়ানডে খেলা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার আরও বলেন, ‘আমরা বলতে পারি যে ভারত দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ খেলতে চায় না, তবে আপনি আইসিসি ইভেন্টগুলিকে অস্বীকার করতে পারবেন না কারণ আপনি ইতিমধ্যে এটিতে স্বাক্ষর করেছেন। ভারতকে শক্ত কারণ দেখাতে হবে। ভারত যদি এই সময় না আসে, তবে পাকিস্তান টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করে একটি বড় পদক্ষেপ নেবে।’
ঊষার আলো-এসএ