UsharAlo logo
রবিবার, ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মডেল মৌকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঊষার আলো
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : মাদক ও ব্ল্যাক মেইলিংয়ের অভিযোগে করা মামলায় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০২১ সালের ১ আগস্ট মৌ আক্তারকে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যসহ আটক করা হয়। আটকের পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা করা হয়।

ওই সময় পুলিশ জানিয়েছিল, মৌ মডেলিংয়ের নামে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এর পর পার্টি করার নাম করে তাদের বাসায় ডেকে নিতেন। সেখানে মদ-ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক খাইয়ে ‘আপত্তিকর’ ছবি তুলতেন। পরে সেগুলো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা বা নানা সুবিধা আদায় করতেন।

ডিবির তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মৌ ১১টি বিয়ে করেছেন। তার সর্বশেষ স্বামী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। ধনাঢ্যদের ফাঁদে ফেলে তিনি বিয়ে করতেন। বিপুল পরিমাণ সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার পর আরেকজনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন।

দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস না থাকলেও মোহাম্মদপুরে পাঁচতলা আলিশান বাড়ি রয়েছে তার। নেক্সাস, পাজেরো ও টয়োটা ব্র্যান্ডের তিনটি দামি গাড়িও আছে।

মৌ মডেলিং পেশার আড়ালে ব্ল্যাকমেইলিং করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। মাদক ও অনৈতিক ব্যবসায় তার সংশ্লিষ্টতার কিছু প্রমাণ ইতোমধ্যে গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।

ডিবি পুলিশ জানতে পারে, মৌর নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত সুন্দরী তরুণী রয়েছেন। তাদের দিয়েই ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করতেন। টাকা না দিয়ে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এভাবে অনেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বাসার ভেতরে ঢুকেই ড্রয়িংরুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা যায়। বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে আরেকটি ড্রেসিংরুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

ঊষার আলো-এসএ