UsharAlo logo
শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মণিপুর যেন সিরিয়া, লেবানন

usharalodesk
জুন ২০, ২০২৩ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক: দেড় মাস পরও শান্তি ফেরার ইঙ্গিত নেই মণিপুরে। সরকারি হিসাবে সেখানে নিহতের সংখ্যা ১২০ পেরিয়েছে। জাতিবিদ্বেষের কারণে ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যকে গৃহযুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন, সিরিয়া, নাইজেরিয়া এবং লিবিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এল নিশিকান্ত সিংহ।

শুধু সাধারণ মানুষ নয়, মণিপুরের একমাত্র নারী মন্ত্রী, কুকি জনজাতির নেত্রী নেমচা কিগপেন এবং কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মেইতেই জনগোষ্ঠীর নেতা রাজকুমার রঞ্জন সিংহের বাড়িও চলতি সপ্তাহে ভস্মীভূত হয়েছে দাঙ্গার আগুনে। সরকারি সম্পত্তি ও কর্মকর্তাদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট অধিকারীমায়ুম সারদা দেবীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। থংজু বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ও জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

রাজ্যের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা এবং বিদ্যুৎ ও বনমন্ত্রী টি বিশ্বজিৎ সিং যে বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে জিতে এসেছেন, সেই থংজুতে বিজেপির প্রধান দপ্তরটিও হামলাকারীরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। মণিপুরের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের মতে, এই সংঘর্ষের পেছনে মূল দায়ী মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা। অনুপ্রবেশকারী কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে মেইতেই সংগঠনগুলোও।

মণিপুরের পরিস্থিতির জন্য বিজেপির রাজনীতিকে দায়ী করে বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, মণিপুর যে জ্বলছে এবং সেখানে একের পর এক প্রাণহানি হচ্ছে, সেই ব্যর্থতার দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন। দেশটির প্রায় সাড়ে ৫০০ নাগরিক সংগঠন, শিক্ষাবিদ ও আইনজীবী এক যৌথ বিবৃতি জারি করে বলেছেন, বিজেপির ‘বিভাজনের রাজনীতি’ই মণিপুরে এই সহিংসতার সূচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই সংকট নিয়ে মুখ খুলে জবাবদিহি করতে হবে এমন দাবিও করা হয় ওই যৌথ বিবৃতিতে। গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ঊষার আলো-এসএ