মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : যশোরের মনিরামপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুস্থদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের চাল কম বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ মিলেছে, কার্ডপ্রতি ১০ কেজি চাল বিতরণের কথা থাকলেও খেদাপাড়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে ৫-৭ কেজি করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপকারভোগী অন্তত ১১ জনের সাথে কথা বলে এমন অভিযোগ মিলছে। তাঁরা সবাই দুপুরে চাল নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার রিপন কুমার ঘোষ ভিজিএফ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন না। অবশ্য চাল কম দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওই ইউপির সচিব মৃনালকান্তি সাহা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডে তালিকাভুক্ত ৪০৯ জন দুস্থকে চাল দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। উপকারভোগীদের কেউ নির্ধারিত ১০ কেজি করে চাল পাননি। ওয়ার্ডের মাহমুদকাটি গ্রামের শফিউল্লাহর স্ত্রী তৈয়বা বেগম বলেন, ৫ কেজি করে চাল দেছে। বলিছে, যা দিচ্ছি নিয়ে যান। কথা বলবেন না। রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, চাল বাড়ি এনে মেপে দেখি ৫ কেজি। একই কথা বললেন সবুজের স্ত্রী আসমা খাতুন। ওই গ্রামের মকবুল হোসেন বলেন, আমার নিজের, ছেলে ও মেয়ের নাম রয়েছে। আমরা সাড়ে ৬ কেজি করে পাইছি। নূর আলম বলেন, ৭ কেজি পাইছি। বহু লোক ৬-৭ কেজি করে পাইছে। অনেক দুর্নীতি হইছে এবার। ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তায়জুল ইসলাম মিলন বলেন, আমি স্পি দিচ্ছিলাম। সবাইরে বলিছি চাল বুঝে নিতে। একবার কম দেওয়ার কথা শুনে বিতরণ বন্ধ করে দিছি। সংশ্লিষ্ট ইউপির ট্যাগ অফিসার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ বলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম না। চেয়ারম্যান বলেছিলেন, সাড়ে ৯ কেজি করে দেবেন। কিন্তু তিনি ৫ কেজি করে দেওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি। তিনদিন ধরে খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। আগের দিনেও ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে। খেদাপাড়া ইউপির সচিব মৃণাল কান্তি সাহা বলেন, তালিকার ছেয়েও বেশি লোক আসায় চাল কম করে দিতে হয়েছে। ৫ কেজি করে বিতরণের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। এই বিষয়ে জানতে খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হককে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হয়েছে। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে সচিবকে দিয়ে কল করিয়েও তাঁর সাঁড়া মেলেনি। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
(ঊষার আলো-আরএম)