ঊষার আলো রিপোর্ট : মাগুরায় জেলা বিএনপি ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৭টি মোটরসাইকেল একটি অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় শহরের ভায়না এলাকায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যলয়।
জানা গেছে, শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্যে জেলা শহরের উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একই সময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল অতিক্রম করতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় সেখানে ৭টি মটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয় ও বোমা বিস্ফোরণেন ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়।
আহতদের মধ্যে আমিন (২২), ইভান (২৩), সাব্বির (২৪), ইমনকে (২২), মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। অন্যরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সদর উপজেলা পরিষদের দুই পাশে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুই পাশে শতশত যানবহন আটকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দোকান পাট। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান জানান, মাগুরা পৌর সভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবসের কমসূচি পালন শেষে তারাসহ ছাত্রলীগ ও অন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে শহরে ফিরছিল। পথিমধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের পাশে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে অতর্কিতে বোমা হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আমাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদেরকে প্রতিহত করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়।
এ সংঘর্ষের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস সচিব আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের কেন্দ্রী ঘোষিত কর্মসুচি পালনকালে সরকার দলীয় নেতা-কর্মী অর্তকিতে হামলা চালায়। তারা আমাদের কার্যালয় ভাঙচুরসহ মোটরসাইকেলে হামলা ও আগুন দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে আহত হয়।
মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) অসিত কুমার রায় বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। জিজ্ঞাসা করার জন্য কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
ঊষার আলো-এসএ