ঊষার আলো ডেক্স : মাঙ্কিপক্স নিয়ে এখনো আমাদের দেশের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সব ধরনের প্রস্তুতি ও সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শনিবার (২৮ মে) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা মাঙ্কিপক্সের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢামেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালকদার ও বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক নার্সসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা বলেন, আমাদের এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কিছু দেশে এটি শনাক্ত হলেও আমাদের দেশে এখনো আসেনি। তবে আমাদের মন্ত্রণালায় ও স্বাস্থ্য সেক্টরগুলো প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের আইইডিসিআরও প্রস্তুত রয়েছে যেখানে পিসিআর টেস্ট করা যাবে।
অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে আমাদের দেশে এটি ৩য় সেমিনার। আমরা এখনো জানি না এটি আমাদের দেশে এলে কতটা ভয়াবহতা হবে। তবে আমরা কোভিড ১৯, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মোকাবিলা করেছি। এসব থেকে আমরা ওভারকামও করেছি। মাঙ্কিপক্স যে ভেরিয়েশনেই আসুক আমরা এর মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আজকের এ সভার উদ্দেশ্য সচেতনতা তৈরি করা। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আউট ডোর, মেডিসিন অথবা অন্য কোনো বিভাগে লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী এলে আমরা যেন সচেতন থাকি, যাতে সঙ্গে সঙ্গেই সেটি শনাক্ত করতে পারি। ওই রোগীকে যেন অন্য কোথাও গিয়ে শনাক্ত করতে না হয়। হজের পর হাজিরা দেশে ফিরলে তাদেরকে টেস্ট করাতে হবে। আর আসন্ন ঈদে বর্ডার দিয়ে বিভিন্ন গবাদি পশু আমাদের দেশে আসবে। সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো পশুর মাধ্যমেও এটি ছড়াতে না পারে।
(ঊষার আলো-এসএইস)