লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী (এক চোখ অন্ধ) হযরত আলী দেওয়ানকে (৭৫) কুপিয়ে হত্যা করেছেন মাদকাসক্ত ছেলে মামুন দেওয়ান (৩৫)।
বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বড় ছেলে শাহ আলম (৪৫) বাদি হয়ে ছোট ভাই মামুনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মেঘনা বাজার এলাকার দেওয়ান বাড়ির দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হযরত আলী দেওয়ানের ছোট ছেলে মামুন দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। হযরত আলীর দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মামুন ছোট। গত পাঁচ বছর ধরে মামুন মাদকাসক্ত। বুধবার সন্ধ্যায় মামুন তার বাবা হযরত আলীর সঙ্গে টাকা ও খাবার নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বসতঘরের সামনে টিউবওয়েল (কলপাড়ে) ছেলে মামুন ধারালো দা দিয়ে মাথার ডান দিকের অংশে কুপিয়ে জখম করে। পরে ঘটনাস্থলেই কৃষক হযরত আলীর মৃত্যু হয়।
এ সময় পরিবারের শিশু সদস্য নাতিন এগিয়ে আসলে চিৎকার দিলে তাকেও ধাওয়া করে। মামুনকে আটকের চেষ্টা করা হলে তিনি দ্রুত দা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘাতক মামুনের স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে।
খবর পেয়ে রায়পুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, থানার ওসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যান। এর আগেই ঘাতক মামুন পালিয়ে যায় এবং রাত ২টায় নিহত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও একই গ্রামের রোকন দেওয়ান বলেন, ছেলেটি গ্রামে মাদক সেবন ও সাঙ্গপাঙ্গো নিয়ে বিক্রি করত। তিন মাস আগেও মাদকসহ ছেলেটিকে ডিবি পুলিশ আটক করে। কয়েকদিন আগে তাকে তার স্ত্রী জামিনে বাড়িতে নিয়ে আসে।
বুধবার সন্ধায় হঠাৎ করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি অসহায় বাবা হযরত আলী দেওয়ানকে কুপিয়ে হত্যা করে।
রায়পুর থানা পুলিশের ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া জানান, নিহত হযরত আলী দেওয়ানের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক মামুনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের বড় ছেলে শাহ আলম বাদি হয়ে ছোট ভাই মামুনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।
ঊষার আলো-এসএ