মোঃ মেহেদী হাসান ,মণিরামপুর : মণিরামপুর পৌরসভার ৮নং (কামালপুর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুল রহমান। টানা দুইবার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে নানা প্রয়োজনে ওয়ার্ডবাসীদের সেবা করে আলোচনায় এসেছেন বাবুল। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজ খরচে কালভার্ট স্থাপন করে, করোনাকালীন দুস্থদের ত্রাণ দিয়ে, আম্পানে উড়ে যাওয়া ঘর নিজহাতে মেরামত করে দিয়ে এমনকি অসুস্থ অবস্থায় অসহায় ওয়ার্ডবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে একাধিকবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। সর্বপরি গত দুই সপ্তাহে ওয়ার্ডের ৪২ জন বিধবা, ৫৬ জন বয়স্ক ও ২২ জন প্রতিবন্ধীর বাড়িতে ভাতার টাকা পৌঁছে দিয়ে আবারো আলোচনায় এসেছেন মানবিক এই জনপ্রতিনিধি। সরকারের দেওয়া চলতি কিস্তির ভাতার টাকা এখনো হাতে না পাওয়ায় ভাতাভোগীদের অসহায়ত্বের কথা ভেবে তিনি পকেট থেকে দুই লাখ ৮১ হাজার টাকা তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।
দুই পা হারানে আরশাদ মিস্ত্রি বলেন, ‘চলতি কিস্তির ভাতার টাকা এখনো তুলতি পারিনি। কবে সেই টাকা হাতে পাব জানিনে। বাবুলের কাছে গিলাম। ওরে কইলাম রোজা আইছে; টাকা নাহলি চলবান কি করে। পরে আমাগের কাউন্সিলর বাড়ি আইনে আমারে চার হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে গেছে। ও সবসময় আমাগের খবর নেয়। আল্লাহ, বাবুলরে বাঁচাইয়ে রাহুক।’
কাউন্সিলর বাবুল রহমান বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ১২০ জন ভাতাভোগী আছেন। চলতি কিস্তিতে সবার একাউন্টে এখনো ভাতার টাকা ঢোকেনি। পৌরসভার উদ্যোক্তা বলেছেন সবার টাকা ঢুকলে একটা তারিখ নির্ধারণ করে একসাথে বিতরণ করবেন। রোজার মাস চলে এসেছে। ভাতার টাকার জন্য সবাই নিত্য বাড়ি আসছেন। নিজেদের নানা সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। এসব শুনে তাদের কষ্টের কথা ভেবে নিজের একাউন্ট থেকে দুই লাখ ৮১ হাজার টাকা তুলে ভাতাভোগীদের বাড়িবাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। পৌরসভা থেকে যে দিন টাকা দেবে তখন সবাইকে ডেকে সেই টাকা আমি তুলে নেব।’
এদিকে রোববার (১৮ এপ্রিল) পাঁচ রমজানের বিকেলে আড়াইলাখ টাকা খরচ করে ২৫০ জন দুস্থ ওয়ার্ডবাসীর মাঝে ১৪ প্রকারের রমজানের সামগ্রী বিতরণ করার কথা জানিয়েছেন মানবিক এক জনপ্রতিনিধি।