UsharAlo logo
বুধবার, ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসকদের শাটডাউন তুলে নেওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

ঊষার আলো ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪ ৭:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা মেডেকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শাটডাউন ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসকদের এ শাটডাউন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। শাটডাউন ঘোষণা আসার পর রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই আহ্বান জানান তিনি।

নূরজাহান বেগম বলেন, ‘চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে।কিন্তু বড় আঘাত হওয়ায় বাঁচানো যায়নি। গাফিলতি হলে সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা শুনে চিকিৎসকদের ওপর হাত তোলা হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। এরপর আরও দুটি ঘটনা ঘটেছে, যা দুঃখজনক। ’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাদের যথাসাধ্য দায়িত্ব পালন করেছে। কথায় কথায় চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলা যাবে না। যারা হামলা করেছে তাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর অবহেলাজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) ঢুকে চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

ওইদিন মধ্যরাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাটিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।

পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অনস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।

এদিকে, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার পরিষদ।

শনিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা না হলে ইমার্জেন্সি অপারেশন/চিকিৎসা ছাড়া সকল প্রকার অপারেশন এবং সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হবে।