UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৮শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানসম্মত চিকিৎসায় ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঊষার আলো
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩ ৭:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা অফিস : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ। তাই চিকিৎসা সেবা মূলত নির্ভর করে ডাক্তার-নার্সদের ওপর। এই বিষয়গুলোতে ভবিষ্যতে আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, হাসপাতালগুলোতে আমরা এখন পর্যন্ত কোয়ালিটি চিকিৎসা দিতে পারছি না। তবে সেবার মানোন্নয়নে আমরা সারা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি।

তিনি বলেন, ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এতে বৈষম্য রয়েছে। দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা করাতে পারে না। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয় বলে অনেক অর্থ খরচ হয়। এজন্য আমরা চিকিৎসায় বৈষম্য কমানোর চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সংক্রমণব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কলেরা, ডায়রিয়ায় এখন আর মৃত্যু নেই। এখন আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগ বেড়েছে। ৬০-৭০ শতাংশ মৃত্যুই অসংক্রামক রোগে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ক্যান্সার ও হার্ট অ্যাটাকে। এছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যু হয় নয় শতাংশ, গলার ক্যান্সারে ১৪ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়।

মন্ত্রী বলেন, আনুষ্ঠানিক হিসাব অনুযায়ী বছরে এক লাখ লোক ক্যান্সারে মারা যায়, আর আক্রান্ত হয় দেড় লাখ। বাস্তব চিত্র এর চেয়ে খারাপ। কারণ, অনেক লোক চিকিৎসার আওতার বাইরে থাকে। যে কারণে অনেকেই পরিসংখ্যানের আওতার বাইরে থাকে। আমাদের দেশে রোগীর তুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই স্বল্প। ২০ লাখ মানুষ আছেন ক্যান্সার আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসায় যে বড় মাপের ব্যবস্থাপনা দরকার, সেটি আমরা পারিনি। তবে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, চিকিৎসকদের অনেক বেশি মানবিক হতে হবে। ক্যান্সার হাসপাতালে কী পরিমাণ রোগীর চাপ থাকে আমি দেখি। পাশেই আমার অফিস। চিকিৎসক-নার্সরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের মধ্যেও আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা এই হাসপাতালে ভালো কাজ করছেন। এজন্য তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে রোগীদের সেবায় আরও আন্তরিকতা বাড়াতে হবে। রোগীদের নিজের আত্মীয় ভেবে চিকিৎসা দিতে হবে।