ঊষার আলো ডেস্ক : রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুরাদপুরে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার পর নিজেই পুলিশকে ফোন করেন মেহজাবিন।
আজ শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাবা, মা ও ছোট বোনকে খুনের পর মেহজাবিন নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে বলেন এবং পুলিশ না গেলে স্বামী-সন্তানকেও হত্যার ভয় দেখান তিনি। খবর পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ।
এদিকে মেহজাবিন আটক হওয়ার পর পরই তার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে।
নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, মেহজাবিনের প্রথম বিয়ে হয়েছিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে। তার প্রথম স্বামীকে খুনের মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মেহজাবিন। সেই মামলায় তিনি পাঁচ বছর জেলও খাটেন। ওই মামলায় মেহজাবিনের মা-বাবাকেও কারাগারে যেতে হয়েছিল। পরে আবার শফিকুল ইসলাম অরণ্যকে বিয়ে করেন মেহজাবিন।
মেহজাবিনের চাচাতো বোন শিলা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আসেন মেহজাবিন। নিহত বোন জান্নাতুলের সাথে স্বামী শফিকুল ইসলামের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মেহজাবিন। এ বিষয় নিয়ে বাবা-মার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এছাড়াও মেহজাবিন জমি লিখে দিতে তার বাবা-মাকে বিভিন্ন সময় চাপ দিতেন।
পুলিশ আরও জানতে পারে, মেহজাবিন বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসার সময় ঘুমের সাথে ওষুধ নিয়ে আসেন। পরে চায়ের সাথে তা মিশিয়ে সবাইকে খাওয়ান তিনি। এই হত্যাষকাণ্ডের সাথে মেহজাবিনের স্বামীও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
মেহজাবিনের উচ্ছৃঙ্খল জীবনের তথ্য তুলে ধরে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাকে আমি কোনোভাবেই বাগে আনতে পারছিলাম না। তার ছোট বোনের সাথে পরকিয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় ঝগড়া-বিবাদ করত। কোনো কিছু হলেই রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যেত সে।’
উল্লেখ্যই, আজ শনিবার (১৯ জুন) সকালে নিজ বাসা থেকে মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা, মা মৌসুমী ইসলাম ও তার ছোট বোন জান্নাতুলের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
(ঊষার আলো-এফএসপি)