ঊষার আলো ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার এ বাংলাদেশের মানুষ সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবেন। তিনি বেঁচে থাকলে আরও আগেই সেটা পেত। আমাদের দুর্ভাগ্য তাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়ার ফলে সেটা পেলাম না। আমরা তার সেই কাজই করে যাচ্ছি। জাতির পিতার এ দেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। এমনকি পিছিয়েও থাকবে না।’
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঢাকায় নির্মিত ২ হাজার ৪৭৪টি ফ্ল্যাট সংবলিত ৫টি আবাসন প্রকল্প’, ‘মাদারীপুরে নির্মিত সমন্বিত অফিস ভবন উদ্বোধন’ ও ‘জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজ-অর্থায়নে বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে নির্মিত ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা তার জীবন উৎসর্গ করেছে এই দেশের জন্য। তিনি সবসময় একটি কথাই বলতেন, ‘আমার জীবনের একমাত্র কামনা বাংলাদেশের মানুষ অন্ন পাবে, বস্ত্র পাবে ও তারা উন্নত জীবনের অধিকারী হবে।’ বাংলাদেশের মানুষ রোগে-শোকে ছিল। তারা শিক্ষার আলো পেত না। এদের ভাগ্যোন্নয়ন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল লক্ষ্য। তাই ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি থেকে তিনি ধাপে ধাপে জাতিকে মুক্ত এবং স্বাধীন করেছেন। এ দাবির সংগ্রামের মধ্যেই তাকে জেলে নিয়েছে, নির্যাতন করেছে। এমনকি তাকে হত্যাও করতে চেয়েছিলো।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে ভূমিহীনদের ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সাড়ে ৩ বছর একটা রাষ্ট্রের জন্য কম সময়। তখন একটা প্রদেশ ছিল, সেটা দেশে উন্নীত করা এবং তার গঠন করা এটা তিনি করে গেছেন। কিছু বেইমান-মুনাফেকের জন্য তার ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হয়নি।
(ঊষার আলো-আরএম)
