ঊষার আলো ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লাগামে হিমশিম। সেই সাথে দিনদিন বেড়েই চলেছে। এ সংক্রমণ রোধ করতে সরকার কঠোর থেকে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। তবুও যেন থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। দিনদিন রেকর্ড ভাঙছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা।
১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে বিধি নিষেধ অর্থাৎ কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
তাই মানুষ বিভিন্ন স্থান থেকে নিজ-নিজ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। আর এ সুযোগে পরিবহন শ্রমিকরা চার গুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। তাই কেউ-কেউ বাধ্য হয়ে ট্রাকে, কেউ ছোট পিকআপভ্যানে আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুরগি বহন করা খাঁচায় গন্তব্যে ছুটছেন। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
এ সময় খন্দকার বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনিসহ ৮/৯ জন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। করোনার কারণে সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেয়ায় তারা নিজ বাড়ি বগুড়ায় যাবেন। তাই তারা গাড়ির জন্য মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যান।
সেখানে গিয়ে দেখেন বাসে অর্ধেক যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আবার ভাড়াও চার গুণ বেশি। তাই তারা বাধ্য হয়ে সিরাজগঞ্জের একটি পিকআপভ্যানে (মুরগির বাচ্চা বহনকারী) জনপ্রতি ১২০ টাকা করে ঠিক করে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
(ঊষার আলো-এমএনএস)