ঊষার আলো রিপোর্ট: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নওগাঁর নজরুল ইসলামকে (৬৪) আগামী ৭ জুন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নজরুল ইসলামকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে নিম্ন আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।গত ৩১ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক জেলা আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ (৬৮) নওগাঁর তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্টু ছাড়া অপর দুই আসামি হলেন, নজরুল ইসলাম (৬৪) ও মো. শহিদ মণ্ডল (৬২)। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগের তিনটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। আসামিদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।৩১ মে আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত তিনটি অভিযোগ-অভিযোগ-১ : এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।
অভিযোগ-২ : এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এসময় তারা ১৫-২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।
অভিযোগ-৩ : এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০-৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।
ঊষার আলো-এসএ
