মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা : মোংলার ছয়টি ইউনিয়নের সব কয়টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী ছিল অনেক। বুধবার ছয়টি ইউনিয়ন থেকে প্রতিদ্বন্ধী সেসব প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা পত্যাহার করে নিলে একক প্রার্থী হিসেবে টিকে যান নৌকার প্রার্থীরা। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত উদয় শংকর, সোনাইলতলায় নাজরিনা বেগম, চাঁদপাইতে মোল্লা তারিকুল ইসলাম, মিঠাখালীতে উৎপল কুমার মন্ডল, সুন্দরবনে একরাম ইজারাদার ও চিলা ইউনিয়নে গাজী আকবর হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।বিএনপি অংশ না নেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ছয়টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। কিন্তু বিদ্রোহীরা প্রত্যাহারের শেষ বুধবার নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। ফলে ছয়টি ইউনিয়নে এখন নির্বাচন হবে শুধু সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যদের মধ্যে। তবে এরিমধ্যে কয়েকজন সদস্যও তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে একজন প্রত্যাহার করেন। এ পদে এখন নির্বাচন হবে ৩৭ জনের মধ্যে। আর সংরক্ষিত আসনে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১০ জনই আছেন।
সোইনাইলতলা ইউনিয়নে একজন সাধারণ সদস্য পদ থেকে পত্যাহার করায় ২৮ জন ও সংরক্ষিত আসনে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১১ জন নির্বাচন করছেন।
মিঠাখালী ইউনিয়নে দুইজন সাধারণ সদস্য প্রত্যাহার করায় ৩৪ জন ও সংরক্ষিত আসনে কেউ না করায় নির্বাচন করছেন ১১ জন।
চাঁদপাই ইউনিয়নেও দুইজন সাধারণ সদস্য প্রত্যাহার করায় ৩৬ জন ও সংরক্ষিত আসনে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১৩ নির্বাচন করছেন।
সুন্দরবন ইউনিয়নে নয়জন সাধারণ সদস্য প্রত্যাহার করায় ৩১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে প্রত্যাহার না করায় ১২ জনই নির্বাচন করছেন এখানে।
আর চিলা ইউনিয়নে একজন সাধারণ সদস্য প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ৪২ জন ও সংরক্ষিত আসনে দুইজন প্রত্যাহার করায় ১৬ জন প্রার্থী আগামী ১১ এপ্রিল নির্বাচন করবেন।
এ ছয়টি ইউনিয়নে নারী পুরুষ মিলে মোট ভোটার রয়েছেন ৭৯ হাজার ৫৪০ জন।