মোঃ এরশাদ হোসেন রনি, মোংলা : উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুর থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটের মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ীসহ চিংড়ি ঘের পানিতে তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৫নং নম্বর ওয়ার্ডের বালুরমাঠ এলাকা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরকানা এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে।এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশ কিছু সড়ক ও পানিতে ডুবে রয়েছে। শেহলাবুনিয়া এলাকার রাস্তাঘাট হাটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বাড়ী ঘরের মধ্যে পানি উঠায় লোকজন খাটের উপর বসবাস করছে। বন্ধ হয়ে গেছে রান্নাবান্না ও পায়খানা প্রসাবের কাজও। ঘরবাড়ী ও রাস্তাঘাটে হাটু পানি জমায় কেউ যেমন বের হতে পারছেনা, তেমনি ঘরেও থাকতে পারছেনা। ঘর ছেড়ে কেউ কেউ রাস্তার উপরে অবস্থান নিয়েছেন।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতায় এক রকম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায়। বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের খাল ও ড্রেন তলিয়ে রয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতি বৃষ্টিতে মোংলা উপজেলায় ৪শ’ চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ঘেরের বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছ। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় চিংড়ি চাষীরা। এ বৃষ্টি দীর্ঘায়িত হলে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিলা, জয়মনি ও কামারডাঙ্গা এলাকার ঘেরগুলোতে।
বুড়ির ডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, এ ইউনিয়নের ছোট বড় ৩শ’ ঘের ও ২শ’র বেশি ঘরবাড়ী বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ও বুড়িরডাঙ্গা এলাকার যে সমস্ত পরিবার গুলো পানিতে তলিয়ে রয়েছে তাদের খাবারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান।
এর আগে রাতে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্হ এলাকা পরিদর্শন করেন মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি নয়ন কুমার রাজবংশী ও মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার।
(ঊষার আলো-এমএনএস)