UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলা বন্দরের ৪ নিরাপর্ত্তা কর্মীর করোনা সনাক্ত 

koushikkln
জুন ১৭, ২০২১ ২:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোংলা প্রতিনিধি : মোংলা বন্দরের চার নিরাপর্ত্তা কর্মীর শরিরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। বুধবার(১৬ জুন) মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ র্যাপিট এন্টিজেন্ট টেষ্টের মাধ্যমে  ৩০ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১৪ জনের শরিরে করোনা সনাক্ত হয়। এর মধ্যে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চার জন নিরাপর্ত্তা কমি রয়েছেন। এর আগে রবিবার মোংলা ইপিজেড এ কর্মরত এক চীনা নারীর  করোনা সনাক্তের পর  মঙ্গলবার (১৫ জুন) ৫ আনসার সদস্যের করোনা পজেটিভ শনাক্ত  হয় ।   এর ফলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো  ইপিজেড  ও বন্দরে এ কর্মরতরা।
বুধবার করোনায় আক্রান্ত বন্দরের নিরাপর্ত্তা কর্মিরা হলেন, কামাল হোসেন,ইমান আলী,নাজমুল হোসেন,খবিয়ার রহমান। আর গেল মঙ্গলবার  (১৫ জুন)   করোনায় আক্রান্ত ইপিজেড এর নিরাপত্তা কর্মিরা হলেন,পরিতোষ, সোহেল রানা, মন্টু মন্ডল, অনুপ চন্দ্র সরকার ও সঞ্জয় মন্ডল। এর আগে গত রোববার ইপিজেডের জিনলাইট গার্মেন্টসথর টেকনিশিয়ান জিংয়াও কিন জুয়ানের (৩৩) করোনা শনাক্ত হয়।
মোংলা উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই দিনে ১৫ ও ১৬ জুন ৫৩ জনের নমুনা পরিক্ষায় ২৯ জনের শরিরে করোনা সনাক্ত হয়।  যা পরিক্ষা বিভেচনায় আক্রান্তের হার শতকরা ৫৫ ভাগ।
এনিয়ে মোংলা বন্দর এ কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারী ও ইপিজেডের বিভিন্ন কলকারখানা ও শ্রমিকদের মধ্যে নতুন করে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
মোংলা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, করোনা আক্রান্ত চায়না নারী টেকনিশিয়ান জিংয়াও কিন জুয়ান এখন সুস্থ আছেন। আর নতুন করে যে ৫ জন আনসারের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদেরকে ইপিজেডের নির্দিষ্ট করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোংলায় চলমান করোনার কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এর আগে তিন দফায় দেয়া বিধিনিষেধের শেষ দিন ছিল আজ। কিন্তু সংক্রমণ হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করলো প্রশাসন।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এই বিধিনিষেধ আরোপ করেন।
এর আগে হঠাৎ করে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে গত ৩০ মে থেকে তিন দফায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে প্রশাসন।
এ দিকে কঠোর বিধি নিষেধের শেষ দিন ছিল বুধবার (১৬ জুন)। কিন্তু এদিনও সবকিছুতে দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব। শহর জুড়ে যান ও মানুষের অবাধ চলাচল দেখে মনেই হয়নি এখানে বিধি নিষেধ চলছে।