প্রায় দশদিন দিন ধরে তারা একটি মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ ঢাকা থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত সাইফুলের মোটরসাইকেলটি ভাড়া করে।
মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় মো. সাইফুল ইসলামকে গলাকেটে হত্যার পর তার মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি ‘রাইড শেয়ারিং’ চালক ছিলেন।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে নিহতের বড় ভাই মো. সিফাত উল্লাহ বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এর আধা ঘণ্টা পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোতা হাওর থেকে মুখমণ্ডল পোড়া ও গলাকাটা অব্স্থায় সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর-বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ ও ছায়রা খাতুনের ছেলে। ঢাকার মিরপুরে থেকে ভাড়ায় রাইড শেয়ারিং এ মোটরসাইকেল চালাতেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ২১ বছর বয়সী অন্তর আহমেদ শান্ত নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সালেক মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকায় ভাসানটেক এলাকার বরিশাল বস্তিতে থেকে একটি দোকানে কাজ করতেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শান্তকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার এবং তল্লাশি করে সাইফুলের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।তিনি বলেন, শান্তর কাছ থেকে হত্যায় জড়িত সবার নাম জানা গেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। আর শান্তকে আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে।