UsharAlo logo
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মোবাইল ছিনতাই-চুরির মামলা থানা না নিলে ব্যবস্থা : ডিএমপি

usharalodesk
এপ্রিল ৯, ২০২২ ১:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : যদি কোনো বিশেষ অভিযোগ পাওয়া যায় যে ছিনতাই বা ডাকাতি হওয়ার পরও কোনো থানা মামলা নিচ্ছে না বা মামলা নিতে গড়িমসি করছে, অভিযোগ করুন। ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং সেটা আমরা নিচ্ছি।

শনিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম।

এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইচক্রের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। গত ৬ এপ্রিল ও ৮ এপ্রিল রাজধানীর হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— আব্দুর রহমান শুভ (২২), ইয়াছিন আরাফাত জয় (১৯), বাবু মিয়া (২৮), ফরহাদ (২১), হৃদয় সরকার (২৪), আকাশ (২০), জনি খান (২২), রোকন (১৮), মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান (২৭), মনির হোসেন (৪১), জুয়েল (২২), জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল (৩৬), আজিম ওরফে গালকাটা আজিম (৩৫), শাকিল ওরফে লাদেন (২৪), ইমন (২২), রাজিব (২৫), রাসেল (৩২), মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ (৩৯), মাসুদ (৩০), তাজুল ইসলাম মামুন (৩০), সবুজ (৩০), জীবন (২৫), রিয়াজুল ইসলাম (২৫), মুন্না হাওলাদার (১৯), শাকিল হাওলাদার (২০), ফেরদৌস (২২) ও আবুল কালাম আজাদ (৩৪)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়।

ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই, মলম ও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। ডিবি পুলিশও বিশেষ করে ঢাকায় দস্যুতা, ছিনতাই-ডাকাতি চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।

ডিএমপি কমিশনারের দিকনির্দেশনায় রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগ বিশেষ অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাতি ও দস্যুতার প্রস্তুতিকালে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ২৭ জনই পেশাদার ছিনতাইকারী, ডাকাতদলের সদস্য ও অপরাধী। আজ তাদের মধ্যে ২২ জনকে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ২৭ জনের বিরুদ্ধেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, তারা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরে যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেট করা ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনা নাশক উপাদান প্রয়োগের মাধ্যমে অচেতন করে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যায়।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস বেশি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাস্তায় যারা ছিঁচকে চোর-ছিনতাইকারী আছে, তারা রাস্তায় মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়, তাদের অধিকাংশই মাদকসেবী।

ঊষার আলো-এসএ